India vs Sri Lanka 1st ODI Tie: ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ টাই শেষ হয়েছিল। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ২৩০ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। জবাবে ভারতীয় দলও ২৩০ রান করতে পারে। মাত্র ১ রানে ম্যাচ জিততে পারেনি ভারতীয় দল। যদিও সেই সময়ে তাদের হাতে ১৪ বল বাকি ছিল। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে বেশ হতাশ দেখাচ্ছিল। ম্যাচের পরে, টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক স্বীকার করেছেন যে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই জিততে তার দলের ১৪ বলে এক রান করা উচিত ছিল।
২৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ভারতীয় দল ৪৭.৫ ওভারে ২৩০ রানে অলআউট হয়ে যায়। তবে এর আগে রোহিত শর্মার ৫৮ রানের দ্রুত ইনিংস থাকা সত্ত্বেও এমনটা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার চার স্পিনারের বিরুদ্ধে ভারতীয় খেলোয়াড়রা কখনই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননি। ম্যাচের পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘স্কোরটা করা যেতে পারত। তবে এর জন্য ভালো ব্যাটিং করতে হবে। আমরা প্যাচে ভালো ব্যাটিং করেছি কিন্তু কোনও ছন্দ তৈরি করতে পারিনি। আমরা ভালো শুরু করেছি। কিন্তু আমরা জানতাম যে স্পিন এলে খেলা বদলে যাবে। আমরা কিছু উইকেট হারিয়ে পিছিয়ে পড়েছিলাম।’
নাম না নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন রোহিত শর্মা
যদিও রোহিত শর্মা কারও সম্পর্কে তেমন কিছু বলেননি। ম্যাচের পরে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় দলের অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আমরা অক্ষর প্যাটেল এবং কেএল রাহুলের মধ্যে জুটি নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছিলাম, কিন্তু তাদের আউট হওয়ার কারণে ভারসাম্য আবার বিঘ্নিত হয়েছিল। ১৪ বলে এক রান করতে না পেরে হতাশ হলেও বেশি কিছু বলব না।’ আপনাকে জানিয়ে রাখি যে ম্যাচে, অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজেই টিম ইন্ডিয়াকে শক্তিশালী শুরু করেছিলেন। তিনি মাত্র ৩৩ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছিল। ফলস্বরূপ, ভারতীয় দল ২৩১ রানের স্কোরও অর্জন করতে পারেনি।
রোহিত শর্মা আরও বলেন, ‘এটা এমন খেলা ছিল না যেখানে আপনি আপনার শট খেলতে পারেন, [আপনাকে] নিজেকে প্রয়োগ করতে হয়েছিল এবং খনন করতে হয়েছিল। আমরা যেভাবে লড়াই করেছি তাতে গর্বিত, আমাদের স্নায়ু ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু আমাদের ওই এক রান পাওয়া উচিত ছিল।’ তিনি বলেন, ‘স্কোরটা অর্জন করা উচিত ছিল, সেখানে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে ভালো ব্যাট করতে হত। আমরা প্যাচে ভালো ব্যাটিং করেছি। ১৪ বলে ১ রান না করতে পারায় হতাশ।’