শুভব্রত মুখার্জি:- শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ইতিমধ্যেই ওডিআই সিরিজ এবং ওয়ান-অফ টেস্ট জিতে নিয়েছে ভারতীয় দল। ফলে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল আলাদা আত্মবিশ্বাস নিয়েই টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেমেছিল। ম্যাচে জেমিমা রদ্রিগেজের দুরন্ত লড়াই সত্ত্বেও শেষ হাসি হাসতে পারল না ভারতীয় দল। প্রোটিয়াদের কাছে প্রথম ম্যাচে তাদেরকে হারতে হল ১২ রানে। রিচা ঘোষের মতো আক্রমণাত্মক একজন ব্যাটারদের অনুপস্থিতি এদিন বারবার অনুভূত হল ভারতীয় ইনিংসে। তবে এরপরেও লড়াই ছাড়েননি স্মৃতি মন্ধনা এবং জেমিমারা। তবে তাঁদের লড়াইয়ের পরেও অল্পের জন্য ভারত জয়ের মুখ দেখতে পেল না। ফলে আপাতত তারা তিন ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে পড়ল ১-০ ব্যবধানে।
এদিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে তারা মাত্র চার উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের বিরাট স্কোর করে। তাদের ব্যাটিংয়ের সময়ে ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। ১৬ তম ওভারে তানজিম ব্রিটসের ক্যাচ ধরতে গিয়ে মিস করেন ভারতীয় কিপার ব্যাটার রিচা ঘোষ। সেই বল এসে সজোরে আঘাত করে তাঁর মুখে। সঙ্গে-সঙ্গে মাঠে দৌড়ে আসেন ফিজিয়ো। তিনি মাঠেই তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে স্ক্যান করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ম্যাচে যখন বড় রান তাড়া করতে গিয়ে ভারতের প্রয়োজন ছিল, রিচার মতো মারকুটে এক ব্যাটার তখন তাঁকে হারিয়ে চাপে পড়ে যেতে হয় ভারতকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুরন্ত শুরু করেন অধিনায়ক লরা উলভার্ট। মাত্র ২২ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন মারিজান কাপ এবং তানজিম ব্রিটস। দু'জনে মিলে ৯৬ রান যোগ করেন। মারিজান কাপ ৩৩ বলে ৫৭ রান করেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল আটটি চার এবং একটি ছয়ে। মারকুটে মেজাজে ব্যাট করেন তানজিম ব্রিটস। তিনি মাত্র ৫৬ বলে ৮১ রান করে আউট হয়ে যান। তার আগে তিনি মারেন ১০ টি চার এবং তিনটি ছয়। ভারতের হয়ে রাধা যাদব এবং পূজা বস্ত্রকার দুটি করে উইকেট নেন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দল চার উইকেটে ১৭৭ রান করে আটকে যায়। ওপেনিং জুটিতে শেফালি বর্মা এবং স্মৃতি মন্ধনা ৫৬ রান যোগ করেন। সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধনা ৩০ বলে ৪৬ রান করেন। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ২৯ বলে করেন ৩৫ রান। জেমিমা ৩০ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থেকে যান। তিনি সাতটি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি মেরে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেন। তবে দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেননি। দয়ালন হেমলতা ১৭ বলে ১৪ রান করেন।cr