বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বৃষ্টি বিঘ্নিত কানপুর টেস্ট জিততে কতটা মরিয়া ছিল ভারত, সেটা রোহিতদের পারফর্ম্যান্স দেখেই বোঝা যায়। তবে নেপথ্যের চমকপ্রদ এক কাহিনী সামনে আনলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বৃষ্টিতে আড়াই দিনের খেলা নষ্ট হওয়ার পরে টিম ইন্ডিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট না করেই ডিক্লেয়ার করতে চেয়েছিল।
কানপুর টেস্টে বৃষ্টির জন্য প্রথম দিনে খেলা হয় মোটে ৩৫ ওভার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে বল গড়ায়নি পিচে। তবে চতুর্থ দিনে খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ে। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২৩৩ রানে।
ঠিক এই সময়েই ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর ও ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার মাথায় ঘুরছিল প্রথম ইনিংসে ব্যাট না করার কথা। অর্থাৎ, ভারত চাইছিল প্রথম ইনিংসে পালটা ব্যাট না করে ফের বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পাঠাতে। বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলিয়ে যত রান করবে, সেটাই শেষ ইনিংসে তাড়া করতে চেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
যদিও কানপুরের প্রচণ্ড গরমের জন্য শেষমেশ সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয় ভারতকে। বোলারদের উপর প্রবল চাপ পড়বে বুঝেই রোহিতরা নিজেদের ভাবনা থেকে সরে আসেন এবং বিকল্প পথ বেছে নেন। এক্ষেত্রে অশ্বিন ও বুমরাহর প্রবল আপত্তিই ভারতকে প্রথম ইনিংসে ব্যাট না করার ভাবনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।
ভারত প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামলেও তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে যায় প্রথম ওভার থেকেই। অশ্বিনরা চতুর্থ দিনে ফের বল করতে নামার পরিপন্থি ছিলেন। তবে ক্যাপ্টেন নিজে যখন মরিয়া হয়ে ঝাঁপাচ্ছেন, তখন সমবেতভাবে লড়াইটা জোরদার করাই মনস্থির করেন অশ্বিনরা।
অশ্বিন বলেন, ‘ব্যাট না করেই প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ারের বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়। তবে প্রচণ্ড গরম ছিল। পরিস্থিতি মোটেও সহজ ছিল না। সবাই দরদর করে ঘামছিলাম। আমাকে দিনে চারটি টি-শার্ট পরতে হচ্ছিল। এমন পরিবেশে পেসারদের টানা বল করা কঠিন। এমনকি স্পিনারদের পরপর বল করাও মুশকিল ছিল। তাছাড়া আমরা যদি ফের ওদের ২০০-র মধ্যেও আটকে রাখতাম, তাহলেও ব্যাটারদের হাতে থাকত ৫টি সেশন। সেটা ব্যাটারদের জন্য কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াত। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে ব্যাট করা যাক, তার পরে না হয় বল হাতে লড়াই করা যাবে।’