রায়পুরে International Masters Leagueর ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাস্টার্সকে ৭ রানে হারিয়ে দিল ইন্ডিয়া মাস্টার্স। শুরুটা করেছিলেন যুবরাজ সিং, দেখে মনে হচ্ছিল শেষটা করবেন ডোয়েন স্মিথ-উইলিয়াম পেরকিনসরা। তবে তাঁরা পারলেন না। ইন্ডিয়া মাস্টার্স দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৫৩ রান তোলার পর অনেকেই ভেবেছিল হয়ত সহজেই জিতে যাবে টিম ইন্ডিয়া। যতই হোক, পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা দল ভারত। কিন্তু আসল ক্লাইম্যাক্স বাকি ছিল তখনও। সেটাই দেখালেন ক্যারিবিয়ান শিবিরের দুই ওপেনার ডোয়েন স্মিথ এবং পেরকিনস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাস্টার্সের অধিনায়ক ব্রায়ান লারা এদিন টস জিতে ভারতকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন প্রথমে। ছিলেন না সচিন তেন্ডুলকর। তাতে কী? ওপেনিংয়ে এসে সৌরভ তিওয়ারি এবং অম্বতি রায়াডু ভালোই শুরু করেন। ৩৭ বলে ৬০ রান করেন সৌরভ, রায়াডু করেন ৩৫ বলে ৬৩ রান। এই জুটি ভাঙার পরই শুরু হয় আসল ঝড়।
ভারতের গুরকিরত সিং ২১ বলে ৪৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। মারেন চারটি চার এবং তিনটি ছয়। তখনও বাকি ছিল, রায়পুরের মাঠে টর্নেডো। যা শুরু করেন যুবরাজ সিং। নিজের সোনালি অতীতের ছাপ ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে রেখে গেলেন এই ম্যাচে ইন্ডিয়া মাস্টার্সের অধিনায়ক যুবরাজ। মাত্র ২০ বলে তিনি করলেন অপরাজিত ৪৯ রান। মারলেন ৩টি ছয় এবং ৬টি চার, আর তাতেই দলের স্কোর পেরিয়ে যায় ২৫০র রানের গণ্ডি।
২৫৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাঁড়া করতে নেমে ১০ ওভারের মধ্যেই ১৫০ রানের গণ্ডি টপকে যায় উইন্ডিজরা। উইলিয়াম পেরকিনস ২৪ বলে ৫২ রান করে পবন নেগির বলে আউট হলে মাঠে আসেন লেন্ডিল সিমনস। আর তিনি এসেই রাহুল শর্মার ওপর বুলডোজার চালিয়ে দেন দশম ওভারে। ছয় বলে মারেন ৫টি ছয় এবং ১টি চার। আর তাতেই কার্যত ম্যাচ ভারতের হাতের নাগালের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পেরকিনসকে আউট করে ভালো হয়েছে না খারাপ, সেটাই বুঝে পাচ্ছিলেন না ভারতীয় বোলাররা।
যদিও ১৩ বলে ৩৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পর সিমনসকে সাজঘরে ফেরান সেই পবন নেগি, ক্যাচ নেন মিঠুন মানস। এরপরই ক্যারিবিয়ানদের রানের গতিতে কিছুটা রাশ টানে ভারতীয় বোলাররা। ৩৪ বলে ৭৯ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলার পর ডোয়েন স্মিথও সাজঘরে ফেরেন, তাঁকে বোল্ড আউট করেন স্টুয়ার্ট বিনি।
শেষদিকে উইন্ডিজকে টানেন অ্যাশলে নার্স। লাস্ট ওভার বোলিং করছিলেন ইরফান পাঠান। তিনি যে এখনও নিজের স্লগ ওভার বোলিং ভুলে যাননি সেটাই বুঝিয়ে দিলেন পাঠান। নারসিংহ ডিওনারাইন করেন ২০ বলে ২৮ রান। ১২ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যশলে নার্স। ২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল তোলে ৬ উইকেটে ২৪৬ রান। শেষ বলে ইরফান পাঠানকে একটি চার মারেন ব্রায়ান লারা। ২ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন স্টুয়ার্ট বিনি। এই নিয়ে পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই রইল ইন্ডিয়া মাস্টার্স।