বয়স মাত্র ১৭ বছর। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের হয়ে ৬টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলে ফেলেছেন আয়ুষ মাত্রে। ইরানি কাপে অবশিষ্ট ভারত একাদশের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের জার্সিতে আত্মপ্রকাশ করেন আয়ুষ। পরে রঞ্জি ট্রফির ৫টি ম্যাচে মাঠে নামনে তিনি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ভারতের সর্বোচ্চ ঘরোয়া টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফিতে এবছর ২টি সেঞ্চুরি ও ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন আয়ুষ। সিনিয়র পর্যায়ে এমন চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স উপহার দেওয়ার পরে ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে মাঠে নামেন মুম্বইয়ের টিন-এজার ওপেনার।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুব এশিয়া কাপের প্রথম ম্য়াচে আগ্রাসী শুরু করেও বড় রানের ইনিংস খেলতে ব্যর্য হন আয়ুষ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি ৫টি বাউন্ডারির সাহায্য়ে ১৪ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে জাপানের বিরুদ্ধে হাফ-সেঞ্চুরির আগে থামানো যায়নি আয়ুষকে।
সোমবার জাপানের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালান আয়ুষ। তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। যদিও অর্ধশতরানে পৌঁছনোর পরেই আউট হয়ে বসেন আয়ুষ। ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৫৪ রান করে মাঠ ছাড়েন আয়ুষ। সুতরাং, ওয়ান ডে ম্যাচে কার্যত টি-২০ ক্রিকেটের ঢংয়ে ব্যাট করে ভারতীয় যুব দলকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দেন আয়ুষ।
ভারতের অপর ওপেনার বৈভব সূর্যবংশী সেট হয়ে নিজের উইকেট দিয়ে আসেন। গত আইপিএল নিলামে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকায় রাজস্থান রয়্যালসে যোগ দেওয়া ১৩ বছরের বৈভব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৯ বলে ১ রান করে আউট হন। তিনি জাপানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ২৩ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৩টি চার ও ১টি ছক্কা।
আয়ুষ মাত্রের ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ার
১. বনাম অবশিষ্ট ভারত একাদশ (ইরানি কাপ)- ১৯ ও ১৪ রান।
২. বনাম বরোদা (রঞ্জি ট্রফি)- ৫২ ও ২২ রান।
৩. বনাম মহারাষ্ট্র (রঞ্জি ট্রফি)- ১৭৬ ও ১৫ রান।
৪. বনাম ত্রিপুরা (রঞ্জি ট্রফি)- ৪ ও ১ রান।
৫. বনাম ওড়িশা (রঞ্জি ট্রফি)- ১৮ রান।
৬. বনাম সার্ভিসেস (রঞ্জি ট্রফি)- ১১৬ ও ৪ রান।
আয়ুষ মুম্বইয়ের হয়ে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেললেও এখনও সিনিয়র পর্যায়ে লিস্ট-এ ও টি-২০ ম্যাচে ম্যাচে মাঠে নামেননি। জাতীয় দলের আঙিনায় রয়েছেন বলেই মুম্বইয়ের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে মাঠে নামা হচ্ছে না ১৭ বছরের ব্যাটারের।