আহমেদাবাদের মাঠে ভারতীয় দল এক বছর ২ মাস আগে যখন ওডিআইতে খেলতে নেমেছিল তখন অত্যন্ত বেদনার স্মৃতি নিয়েই তাঁদের মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। কারণ ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে অপরাজিত তকমা হারিয়ে বিশ্বকাপও হাতছাড়া হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। এরপর থেকেই ভারতীয় দলের অনেক ভক্ত এই মাঠকে খুব একটা লাকি হিসেবে মনে করে না।
আরও পড়ুন-শততম টেস্টে ক্রিকেটকে বিদায়! শেষ ইনিংসে করুণারত্নে করলেন ১৪, দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫০
তবে শুভমন গিলের কাছে এই মাঠ বেশ পয়া। কারণ টেস্ট হোক বা টি২০, কিংবা ওডিআই, আহমেদাবাদের মাঠে তিনি সব ফরম্যাটেই শতরানের নজির গড়ে ফেলেছেন। ইংল্যান্ডের বোলিং অ্যাটাক যথেষ্টই শক্তিশালী কিন্তু তার বিরুদ্ধেও দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। সেই সুবাদেই ভারতীয় দলও তৃতীয় ওডিআই ম্যাচে ৩৫৬ রান তোলে।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারতীয় দল তুলল এই মাঠের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে দঃ আফ্রিকার এই মাটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল। এদিনের ম্যাচে শুভমন গিল নিজের সপ্তম শতরান পাওয়ার পাশাপাশি শ্রেয়স আইয়ার এবং বিরাট কোহলি অর্ধশতরান করলেন। সবার নজর ছিল কোহলির ওপর। বিরাট করলেন ৫২ রান। মোক্ষম সময়ই তিনি রানের মধ্যে ফিরলেন। লোকেশ রাহুলও করলেন ৪০ রান।
আরও পড়ুন-আয়ুবের চোট, ICC চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওপেনার কে? রিজওয়ান বলছেন, ‘কিং কর লেগা’,
আহমেদাবাদের মাঠে সব থেকে বেশি স্কোর-
২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে দঃ আফ্রিকা করেছিল ২ উইকেটে ৩৬৫ রান
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের আজকের ম্যাচে ভারত করল ৩৫৬ রান
২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারত করেছিল ৫ উইকেটে ৩২৫ রান
২০০২ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল তুলেছিল ৪ উইকেটে ৩২৪ রান
২০০৭ সালে পাকিস্তান দল ভারতের বিপক্ষে এই মাঠে করেছিল ৭ উইকেটে ৩১৯ রান
ভারতীয় দল এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে। ৩-০তে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জিততে পারলে ভারতের আত্মবিশ্বাসও অনেকগুন বেড়ে যাবে।