ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ পৌঁছে গিয়েছে জমজমাটি পর্যায়ে। প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ৩৫৩ রানের মত একটি লড়াকু টোটাল তোলার পর বোলিং করতে নেমেই দ্রুত রোহিত শর্মাকে প্যাভিলিয়নে ফেরায় ইংল্যান্ড। যদিও তারপর টিম ইন্ডিয়ার তারকা ওপেনার যশস্বী জসওয়াল ও শুভমন গিল একটি পার্টনারশিপ গড়ে হাল ধরেন। এরপর আউট হয়ে যান গিল।
কিন্তু এদিন ফের ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে চলেছেন যশস্বী জসওয়াল। ইতিমধ্যেই তিনি করে ফেলেছেন অর্ধশতরান। এছাড়াও তিনি হকিয়েছেন বেশ কিছু আকর্ষণীয় শট। তবে এদিন অল্পের জন্য তাঁর উইকেট থেকে বঞ্চিত হন ইংল্যান্ডের তারকা পেসার রবিনসন। ১৯.৬ ওভারে রবিনসনের বল যশস্বীর ব্যাটের কানায় নিয়ে উইকেটকিপারের দস্তানায় যায়। তবে বল গ্লাভসের ঠিক সামনেই ড্রপ পড়ে। তৃতীয় আম্পায়ার টেলিভিশন রিপ্লে দেখে যশস্বীকে নট-আউট ঘোষণা করেন। তবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি। স্টোকসদের রিপ্লে দেখে সেলিব্রেট করতে দেখা যায়। তবে জায়ান্ট স্ক্রিনে নট-আউট ফুটে উঠতেই অবিশ্বাসের ভাব ফুটে ওঠে ব্রিটিশ ক্রিকেটারদের শরীরি ভাষায়।
শনিবার, অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ছিল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলা। ৭ উইকেটে ৩০২ রান নিয়ে খেলতে নামেন ওলি রবিনসন ও জো রুট। তবে এদিন বেশিক্ষণ তাঁরা টিকে থাকতে পারেননি। আরো ৫১ রান যোগ করে সকলেই ফিরে যায় প্যাভিলিয়নে। অর্থাৎ ৩৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। এরপর ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা লাগে টিম ইন্ডিয়ার। দুই রান করে প্যাভিলিয়নের ফিরে যান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপর শুভমন গিল ও যশস্বী জসওয়ালের পার্টনারশিপের সাহায্যে ম্যাচে কামব্যাক করতে সফল হয় 'মেন ইন ব্লু'। যদিও ২৫ ওভারের শেষের দিকে ভারত হারায় নিজেদের দ্বিতীয় উইকেট। গিল আউট হন ৩৮ রানে। কিন্তু দাপট অব্যাহত থাকে যশস্বীর। করে ফেলেন অর্ধশতরান।
তবে এদিন ভাগ্য সহায় হয় যশস্বীর। অল্পের জন্য আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান তিনি। তখন চলছিল ২০তম ওভার। স্ট্রাইকে ছিলেন যশস্বী এবং বল ছিল ওলি রবিনসনের হাতে। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় বেন ফোকসের হাতে এবং সকলেই আনন্দে মেতে ওঠেন সেই সময়ে। কিন্তু যশস্বী স্পষ্ট ছিলেন যে তিনি আউট হননি। এরপর অনফিল্ড আম্পায়াররা সাহায্য নেয় থার্ড আম্পায়ারের এবং দেখা যায় যে বলটি মাটিতে লেগে তারপর উইকেটরক্ষকের হাতে আসে। একদিকে তা দেখে যেমন ইংল্যান্ডের হাসি ম্লান হয়ে যায়, তেমনই অন্যদিকে স্বস্তির নিঃশ্বাস পায় ভারতীয় সমর্থকেরা। এবার দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামে টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস।