নিশ্চিতভাবেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি দেখতে স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছিলেন দর্শকরা। যদিও টানটান লড়াই চললেও মারকাটারি ক্রিকেট দেখা যায়নি ভারত বনাম পাকিস্তান মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচে। তবে ভারতীয় সমর্থকরা খুশি মনে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন হরমনপ্রীতরা জয় তুলে নেওয়ায়।
ক্রিকেটের ময়দানে ভারত-পাকিস্তানের সম্মুখসমর সর্বদাই হটকেক। ক্রিকেটপ্রেমীরা কার্যত হামলে পড়েন ভারত-পাক ম্য়াচের উত্তেজনায় গা ভাসাতে। ব্যতিক্রমী ছিল না রবিবারের দুবাইয়ের ম্যাচও। মাঠে ভিড় জমান প্রচুর সংখ্যক দর্শক। তাতেই তৈরি হয় মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে নতুন এক রেকর্ড।
এর আগে মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপের কোনও গ্রুপ লিগের ম্যাচে এত দর্শক হয়নি, যত সংখ্যক ক্রিকেটপ্রেমী রবিবার দুবাইয়ে ভারত-পাক ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন। ভারত-পাক ম্যাচের সময় গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন ১৫৯৩৫ জন দর্শক, যা গ্রুপ পর্যায়ে সর্বকালীন রেকর্ড।
এর আগে বিশ্বকাপের কোনও গ্রুপ লিগের ম্যাচে সব থেকে বেশি দর্শক হয়েছিল ২০২০ সালে। ২১ ফেব্রুয়ারি সিডনিতে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দেখতে হাজির ছিলেন ১৩৪৩২ জন দর্শক।
যদিও মেয়েদের কোনও ক্রিকেট ম্যাচে সব থেকে বেশি দর্শকের রেকর্ডের নিরিখে এই সংখ্যা ধারে-কাছেও আসে না। ২০২০ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন ৮৬১৭৪ জন দর্শক। সুতরাং, একটা বিষয় স্পষ্ট যে, ছেলেদের হোক বা মেয়েদের ম্যাচ, স্টেডিয়ামে দর্শক টানতে আয়োজকদের ভরসা ভারতীয় দল।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ফলাফল
রবিবার দুবাইয়ে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের এ-গ্রুপের ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১০৫ রান সংগ্রহ করে। নিদা দার দলের হয়ে সব থেকে বেশি ২৮ রান করেন। এছাড়া মুনিবা আলি ১৭, ফতিমা সানা ১৩ ও সায়েদা আরুব শাহ ১৪ রানের যোগদান রাখেন।
ভারতের হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন অরুন্ধতী রেড্ডি। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন শ্রেয়াঙ্কা পাতিল। এছাড়া ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন রেনুকা সিং, দীপ্তি শর্মা ও আশা শোভনা।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১০৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ ৭ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে ভারতীয় দল। শেফালি বর্মা ৩২, জেমিমা রডরিগেজ ২৩ ও হরমনপ্রীত কৌর ২৯ রান করেন।