মুম্বইয়ের ক্রিকেটার মুশির খান ও তাঁর বাবা নওশাদ খানের সঙ্গে দেখা করলেন ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। একটি ছবিতে সেটি দেখা যায়। আসলে এই ছবিটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন মুশির খান। এই ছবিতে থেকেই বোঝা যাচ্ছে রোহিত শর্মা কত বড় মনের মানুষ। আসলে মুশিরের পরিবারের সঙ্গে রোহিতের একটা আলাদা সম্পর্ক রয়েছে। মুশিরের বাবা নওশাদ খানের সঙ্গে একটা সময়ে খেলেছিলেন রোহিত শর্মা। এরপরে মুশিরের দাদার সঙ্গেও খেলেন রোহিত। বর্তমানে যেভাবে মুরশিদ খেলছেন তাতে বলাই যায় যে, এরপরে হয়তো মুশিরের সঙ্গেও রোহিতকে খেলতে দেখা যেত। তবে গাড়ি দুর্ঘটনার জন্য মুরশিদের কেরিয়ারে একটু ব্রেক লেগে গিয়েছে। সেই কারণেই হয়তো তরুণ ক্রিকেটারকে মানসিক শক্তি দিতে মুশিরের সঙ্গে দেখা করেন রোহিত শর্মা।
গাড়ি দুর্ঘটনায় চোটের কারণে দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছেন মুম্বইয়ের ক্রিকেটার মুশির খান। দুর্ঘটনায় ঘাড়ের চোট পেয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সি। মুশিরকে ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া রঞ্জি ট্রফি ২০২৪-২৫ মরশুমের শুরুতে মুম্বইয়ের ম্যাচের বাইরে থাকতে হবে। অবশ্য তাঁকে কমপক্ষে তিন মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে।
মুশির খান ভারতীয় দলের ব্যাটসম্যান সরফরাজ খানের ভাই এবং তার বাবা নওশাদ খান। বর্তমানে মুশির খানের সঙ্গে দেখা করে এলেন রোহিত শর্মা। ভারতীয় দলের হিটম্যান একটা সময়ে মুশিরের বাবা ও দাদা দু জনের সঙ্গেই খেলেছিলেন। বৃহস্পতিবার ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা চোট পাওয়া ক্রিকেটার মুশির খান ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
আরও পড়ুন… ভোটে জিততেই ভিনেশ ফোগাটকে বজরং পুনিয়ার শুভেচ্ছা! পিটি ঊষা ভুলতে পারেননি প্যারিস অলিম্পিক্সের অপমান
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুশির গত মাসে ইরানি কাপে অংশ নিতে তার বাবা নওশাদ খানের সঙ্গে গাড়িতে লখনউ আসছিলেন কিন্তু সেই সময়ে তার গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করেছেন মুশির খান। এই ছবিতে মুশির খানকে তাঁর বাবা এবং রোহিতের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। এই সময়ে রোহিতকে মুশির আর তাঁর বাবা নওশাদ খানের কাঁধে হাত রেখে ছবি তুলতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন… লাহোর ও দুবাই- ICC Champions Trophy Final-এর জন্য দুটো ভেন্যু! কেন এমন সিদ্ধান্ত?
রোহিত সম্প্রতি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ভারত। এর পর ভারত নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলবে, যার জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
এদিকে ইরানি কাপের জন্য নিজের শহর আজমগড় থেকে লখনউ যাচ্ছিলেন মুশির খান। সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে তার বাবা নওশাদ খানও ছিলেন। এরপরেই পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। এই সময়ে সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন মুশির খানের বাবা নওশাদ খান। তাদের গাড়িটি ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। মুশির সম্প্রতি দলীপ ট্রফিতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন।