যেন আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপের রিক্যাপ। তৃতীয় টি২০ ম্য়াচে সেঞ্চুরিয়নেও দঃ আফ্রিকার হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার। ক্লাসেন একেবারে দুর্দমুর্তি ধারণ করে নিয়েছিলেন। একটা সময় দেখে মনে হয়েছিল ভারতই ম্যাচ জিতছে, কিন্তু ক্লাসের বিধ্বসী ব্যাটিংই বঝিয়ে দেয় খেল আভি বাকি হে মেরে দোস্ত। যদিও শেষ পর্যন্ত ১১ রানে তৃতীয় টি২০ ম্যাচে জিতে সিরিজে ২-১ এগোল ভারত।
আরও পড়ুন-অজিভূমে যাওয়ার আগেই স্লেজিং শুরু, খারাপ ফর্ম নিয়ে বিরাটকে মারাত্মক খোঁটা দিলেন পন্টিং
ক্লাসেনের ক্যাচ মিস করেছিলেন সূর্য-
ম্যাচের ১৪ তম ওভারে হেনরিখ ক্লাসেনের ক্যাচ মিস করে ভারতের অধিনায়ক। সূর্যর ক্যাচ মিসের সময় টাইমিংয়ের কিছুটা ভুল ছিল। তাই তিনি মিস করেন। এরপর বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন ক্লাসেনও। কিন্তু দ্রুত পার্টনারশিপ ভেঙে যায়। হার্দিক পাণ্ডিয়ার বলে ডেভিড মিলারের দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ ভাঙেন অক্ষর প্যাটেল। অবশ্য সূর্য আগে ক্যাচ নিয়ে নিতে পারলে ম্যাচের জবনিকাও আগে পড়তে পারত।
হার্দিককে বেধরক পেটান জানসেন-
অবশ্য হার্দিক পাণ্ডিয়া ১৯তম ওভারে যখন বোলিং করতে এলেন তখনও খেলা ভারতের দখলেই ছিল। কিন্তু তিনি এক ওভারেই দিয়ে গেলেন ২৬ রান। যার ফলে শেষ ওভার করতে আসা বোলারের হাতে ছিল ২৫ রান। ক্লাসেন আউট হওয়ার পর কিছুটা আউট অফ সিলেবাসের মতোই জানসেন এসে পরপর বাউন্ডারি মেরে ভারতের হার্টবিট বাড়িয়ে দেন। যদিও শেষ ওভারে জানসেনকে আউট করে ভারতকে জেতান আর্শদীপ সিং।
আরও পড়ুন-ODI ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গিয়েছে! অথচ নিজেই জানতেন না! অবাক করা গল্প বললেন পাক ক্রিকেটার!
রিঙ্কুর ফর্ম নিয়ে চিন্তা থাকছেন-
এদিকে প্রথমে ব্যাট করে অভিষেক শর্মার অর্ধশতরান এবং তিলক বর্মার দুরন্ত শতরানে ভর করে ভারতীয় দল ২০ ওভারে তুলেছিল ৬ উইকেটে ২১৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০৮ রানে থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। যদিও রিঙ্কু সিংয়ের খারাপ ফর্ম নিয়ে চিন্তায় থাকবে টিম ম্যানেজমেন্ট। পরপর দুই ম্যাচেই ০ করেন ভারতের সঞ্জু স্যামসন। ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় মাথায় চোট পান তিলক, যদিও তিনি সুস্থ।
আরও পড়ুন-'আমাদের দেশে আসছে না তো, আমরাও আর ভালো ব্যবহার…'! BCCIকে চরম বার্তা পাকিস্তানের…
তিলক তিন নম্বরে ব্যাট করতে চেয়েছিল-
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলছেন, ‘আমরা যে ধরণের ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলাম সেটাই খেলেছি। আমি চেয়েছিলাম যেমন আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বা স্টেট লেভেলে খেলি, সেরকমই খেলতে। সেটাই করতে পেরেছি আজ। ব্যাটারদের এমন ব্যাটিং দেখে তাঁর কাজ সহজ হয়ে গেছিল। আমরা ঠিক দিকেই এগোচ্ছি। ক্রিকেটারদের মধ্যে যে আবেগ, খেলার প্রতি দায়বদ্ধতা এবং মানসিকতা আজ দেখেছি, সেটা খুবই ভালো। তিলক বর্মা আমার ঘরে এসে বলেছিল ও ৩ নম্বরে ব্যাট করতে চায়। ওর আর ওর পরিবারের জন্য আমি খুবই খুশি ’।