বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির আগে ক্লোজডোর অনুশীলনে জোর ভারতীয় দলের। ২২ নভেম্বর থেকে পার্থে ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে মঙ্গলবার থেকে অনুশীলন শুরু করেছে টিম ইন্ডিয়া। তবে লোকচক্ষুর আড়াল করতে নেট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেখানকার কর্তব্যরত কর্মীদের ফোন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে সবার আগে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছান বিরাট কোহলি। এছাড়াও হাইভোল্টেজ সিরিজ শুরুর ২ সপ্তাহ আগে পুরো ভারতীয় ক্রিকেট দল সোমবার সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। তবে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে প্রথম টেস্টে পাওয়া যাবে কিনা, সেটা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা অব্যাহত।
দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ানের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ওয়াকা ক্রিকেটে গ্রাউন্ডকে সম্পূর্ণরূপে লকডাউন করে রাখা হয়েছে। এটি ২০২২ টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেই সময় এই মাঠেই অনুশীলন করেছিল ভারত। সেই সময়ও এটিকে নেট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল, যাতে সাধারণ মানুষ বা মিডিয়া কোনও ভাবেই ভারতীয় শিবিরের অনুশীলন না দেখতে পারে।
ঠিক ছিল বর্ডার-গাভাসকর সিরিজ শুরুর আগে রোহিতরা ভারত এ দলের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন। ভারতের এ দল অনেক আগেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছিল। সেখানে তারা অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে দুটি আন-অফিশিয়াল টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করে BCCI। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর সেই প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। মূলত শেষ মুহূর্তে খেলোয়াড়দের চোট-আঘাত এড়াতে এমন ভাবনা বোর্ডের।
মুম্বইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমরা প্রস্তুতি ম্যাচের পরিবর্তে ভারত এ দলের সঙ্গে ম্যাচের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে অনুশীলন করতে চাই। আমাদের বড় স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য ৩ দিন আমাদের বরাদ্দ করা হয়েছিল। আমার মনে হয়না মাত্র ৩ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা ১৯ জন পুরো অনুশীলনের সুযোগ পাব। সেই কারণে ম্যানেজমেন্টের মনে হয়েছে তার থেকে ম্যাচের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে অনুশীলন করা বেশি কার্যকর হবে। এর ফলে ব্যাটসম্যানরা ব্যাট করার যথেষ্ট সময় পাবে, আবার বোলাররাও বল করার পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচের ক্ষেত্রে একটা ব্যাটসম্যান যদি তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যায়, তাহলে তাঁকে সারাদিন বসে কাটাতে হবে। কিন্তু ম্যাচের মতো পরিস্থিতিতে অনুশীলনের ক্ষেত্রে কোনও ব্যাটসম্যান যদি মনে করে ৫০-৭০ বল খেলা আমার পক্ষে যথেষ্ট তখন সে উঠে আসতে পারবে এবং তার জায়গায় আরও একজন ব্যাট করার সুযোগ পাবে। এই কারণেই আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি।’