শুক্রবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরে চাপে পড়ে গিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এই নিয়ে তারা পরপর দুই ম্যাচ হারল। দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হারের পর, এার প্যাট কামিন্সের দলের বিরুদ্ধে হার। সিএসকে প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে এর জন্য ব্যাটারদের দুষেছেন। ভালো উইকেট ছিল, তার পরেও ১৮০-এর বেশি স্কোর না হওয়ায়, তিনি চটেছেন।
স্টিফেন ফ্লেমিং বলেছেন, ‘আমি মনে করি, প্রথম ১০ ওভারে আমরা ভালো জায়গায় অবস্থানে ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, এটি একটি উচ্চ স্কোরিং ম্যাচ খেলা হতে পারে তবে। আমরা অনুভব করেছি যে, পিচ ধীরগতির ছিল। তবে বিশেষ করে শেষ ৫ ওভারে, ওদের বোলারদের ক্রেডিট দিতে হবে, যেভাবে বোলিং করেছে। আশা করেছিলাম, ১৮০৯-১৯০ হবে। কিন্তু ওরা ভালো বল করেছে। যে কারণে হয়তো ১৫ রান মতো কম হয়েছে।’
এছাড়াও স্টিফেন ফ্লেমিং এই হারের জন্য মাথিশা পাথিরানা এবং মুস্তাফিজুর রহমানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পেসারদের অনুপস্থিতিকেও দায়ী করেছেন। ফ্লেমিং ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই যে, পাথিরানা এবং মুস্তাফিজুরের অনুপস্থিতি ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে। তবে চোট হওয়া এবং প্লেয়ারদের কোনও কারণে না পাওয়া যাওয়াটা আইপিএলের একটা অংশ।’
আরও পড়ুন: অ্যায়সা মওকা ফির কাহা মিলেগা- কাকে দেখে রোম্যান্টিক গান গেয়ে উঠলেন কোহলি?
তবে ফ্লেমিংয়ের মতে, অস্থায়ী বিকল্পের উপর দলকে এই সব সময়ে নির্ভর করতে হয় । এবং যা দলের জন্য অনেক সময়েই ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে। যেমন, মুকেশ চৌধুরীকে এই ম্যাচে খেলানো হয়েছিল, যাঁকে দ্বিতীয় ওভারে অভিষেক শর্মা পিটিয়ে ২৭ রান নেন। এই প্রসঙ্গে ফ্লেমিং বলেছেন, ‘এই ম্যাচে আমরা মুকেশ চৌধুরীকে খেলিয়েছিলাম। তবে এটি ওর দিন ছিল না। এই সব অবশ্য আইপিএলের অংশ, খেলোয়াড়দের পরিচালনা করা এবং নতুন নায়কের সন্ধান করা।’
আরও পড়ুন: যুবি, লারাকে ধন্যবাদ অভিষেক শর্মার, কিন্তু ফের বকা খেতে হল ভারতীয় কিংবদন্তির থেকে
শুক্রবার হায়দরাবাদ টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিল। সিএসকে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে। হায়দরাবাদের বোলারদের মাপা বলে বেশি রান করতে পারেনি সিএসকে। শিবম দুবের ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস বাদ দিলে, আহামরি ব্যাটিং এদিন চেন্নাইয়ের কেউই করতে পারেননি। এছাড়া অজিঙ্কা রাহানে ৩০ বলে ৩৫ করেন। ২৩ বলে অপরাজিত ৩১ করেন জাদেজা। ২১ বলে ২৬ করে রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এমএস ধোনি ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নামলেও, সেই সময়ে মাত্র ২ বল খেলার সুযোগ পান। করে ১ রান।
বরং রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। শুরুতেই ১২ বলে ৩৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অভিষেক শর্মা। এছাড়াও ২৪ বলে ৩১ করেন ট্র্যাভিস হেড। ৩৬ বলে ৫০ করেন এডেন মার্করাম। ১৮.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৬৬ রান তুলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।