শুভব্রত মুখার্জি: এক বছরের মধ্যে বদলে গিয়েছে গোটা চিত্রটা। গত বছর আইপিএলে পয়েন্ট তালিকায় যে দলটা একেবারে শেষে শেষ করেছিল, এই বছরে সেই দলটাই উঠেছে ফাইনালে। গত বছরের পারফরম্যান্স যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সানরাইজার্স হায়দরাবাদ চাইবে ভুলে যেতে। গতবারের লাস্টবয়রা এবারের ফাইনালে রবিবার মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের। ২০১৬ সালের পরে ফের একবার ট্রফি জয়ের চেষ্টা করবে তারা। সেবারের সঙ্গে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের এবার একটা মিল রয়েছে। ২০১৬ সালে যখন তারা ট্রফি জিতেছিল, তখনও তাদের অধিনায়ক ছিল এক অস্ট্রেলিয়ান, আর এবারও তাই। তাই ডেভিড ওয়ার্নার বাহিনী ২০১৬ সালে যা করে দেখিয়েছিল, এবার তা করে দেখাতে মুখিয়ে রয়েছে প্যাট কামিন্স বাহিনী। এবার ফাইনালে ওঠার পরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন প্যাট । তাঁর মতে, ‘বিষয়টি খুব স্বস্তিদায়ক, আর একটা (ফাইনাল ম্যাচ) মাত্র ম্যাচ বাকি রয়েছে।’
আরও পড়ুন: পিঠের ব্যথা নিয়ে আমি উদ্বেগ দেখালেও,কেউ বিশ্বাস করেনি- BCCI-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরালেন শ্রেয়স
শুক্রবার রাজস্থান রয়্যালসকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হারানোর পর প্যাট কামিন্স বলেছেন, ‘গোটা মরশুম জুড়ে ছেলেরা দুর্দান্ত খেলেছে। আমাদের স্কোয়াডের পরিবেশ এই মুহূর্তে খুব ভালো। আপনারাও নিশ্চয় সেটা দেখতে পাচ্ছেন। এই মরশুম যখন আমরা শুরু করি, তখন ফাইনালে খেলাটা ছিল আমাদের লক্ষ্য। আর আমরা সেই লক্ষ্যপূরণ করতে পেরেছি। এবার আমাদের আর একধাপ এগিয়ে যেতে হবে। এটা ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবেও আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের সব কিছু একাত্ম করে দিয়েছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য। তাই এই সাফল্য সবার। যারা মাঠে খেলছে এবং যারা পিছন থেকে রয়েছে, প্রত্যেকের জন্য দল এই সাফল্য পেয়েছে। আমার কাছে বিষয়টা খুব স্বস্তিদায়ক।আশা করি, আর একটা ম্যাচ বাকি রয়েছে, সেখানেও ফলাফল আমাদের পক্ষে যাবে।’
আরও পড়ুন: ফের পাক শিবিরের কোন্দল প্রকাশ্যে, বাবরের ডেপুটি হতে পত্রপাঠ না করে দিলেন আফ্রিদি
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ৩৬ রানের ব্যবধানে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে ফাইনালে চলে গিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রসঙ্গত, মরশুম শুরুর আগে প্যাট কামিন্সকে ২০.৫০ কোটি টাকার বিপুল অঙ্কে দলে নিয়েছিল হায়দরাবাদ। প্যাট কামিন্স দলের সেই আস্থার মর্যাদা রেখেছেন। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই প্যাট কামিন্সরা কোয়ালিফায়ার-টু-এ পিছনে ফেলেছে রাজস্থানকে।প্রথমে ব্যাট করে ট্র্যাভিস হেড, রাহুল ত্রিপাঠি এবং এনরিখ ক্লাসেনের ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেটে ১৭৫ রান করে হায়দরাবাদ। জবাবে সাত উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৯ রানে আটকে যায় সঞ্জু স্যামসনের দল রাজস্থান রয়্যালস।