২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তাদের প্রথম আটটি খেলার মধ্যে সাতটিতেই হেরেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। কিন্তু এর পর তারা দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করে। তারা তাদের শেষ পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে এবং শনিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে নিজেদের লিগের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে। প্লে-অফের আশা তাদের এখনও বেঁচে রয়েছে। তবে তার জন্য সিএসকে-কে শনিবার (১৮ মে) হারাতে হবে।
আরসিবি-র এই সাফল্যে বড় ভূমিকা নিয়েছেন রজত পাতিদার। তিনি ১৭৯.৭৭-এর স্ট্রাইকরেটে ৩২০ রান করেছেন। পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। এখনও পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর অন্যতম প্রধান পারফর্মার পাতিদার। আর ৩০ বছর বয়সী তারকা নিজের পারফরম্যান্সের জন্য বিরাট কোহলিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।
রজত পাতিদারের সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ-
আরসিবি-র প্রত্যাবর্তনের কারণ: যখন জিনিসগুলি ঠিকঠাক হয় না, তখন সমস্যা হয়। তবে আমরা গর্বের জন্য খেলার কথা বলেছিলাম। আর এতেই কিছুটা গতি বেড়েছে। সবাই সব সময়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমরা কখনও-ই নিজেদের উপর বিশ্বাস হারাইনি। আমরা যখন জিততে পারিনি, তখনও দলের মধ্যে পরিবেশ চমৎকার ছিল। প্রতিটি খেলোয়াড় ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকেও সমর্থন পেয়েছিল। প্রত্যাবর্তন করতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বোলারদের ফর্মে ফেরা: আমি মনে করি আমাদের দলের প্রত্যেক বোলারের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। এমন কী টি-টোয়েন্টিতেও, যখন আপনি রক্ষণের চেষ্টা করছেন, তখন উইকেট নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক পর্যায়েও, আমাদের বোলাররা পাওয়ারপ্লে-তে ব্রেকথ্রু পাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সম্ভবত এক্সিকিউশনের অভাব ছিল। কিন্তু আমি খুশি যে, ওরা লড়াই জারি রেখেছে এবং নিজেদের ছন্দে ফিরে পেয়েছে। এটি ব্যাটারদের মধ্যেও বিশ্বাস জাগিয়েছে যে, আমরা সব কিছু বদলে দিতে পারি।
মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নামায় মানসিকতার পরিবর্তন: টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যান হিসেবে, শুরু থেকেই বাউন্ডারি মারার অভিপ্রায় ছাড়া আপনার আর কোনও বিকল্প থাকে না। আপনি ভাবতে পারেন না যে, একটু সময় নিয়ে তার পর আগ্রাসী মেজাজে খেলব। তবে তখন দেখবেন অনেকটা দেরী হয়ে গিয়েছে। এই বছর আমার ভূমিকা ভিন্ন, কারণ আমাকে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে বলা হয়েছে। এটা হতে পারে যে, আমি স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলতে বেশি পছন্দ করি, কিন্তু আমি একজন টপ অর্ডার ব্যাটার এবং আমি পেসারদের মুখোমুখি হতে বেশি পছন্দ করি। তবে আমাকে যেহেতু মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে বলা হয়েছে, তাই আমাকে আমার দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা পরিবর্তন করতে হয়েছে। কারণ আপনি টপ-অর্ডার ব্যাটারদের মতো নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাবেন না। প্রথম নামলে সেট হওয়ার জন্য কিছুটা অন্তত সময় পাওয়া যায়। কিন্তু মিডল অর্ডারে, আপনাকে ডাগআউটেই প্রস্তুত থাকতে হবে, যাতে যখনই আপনি মাঠে নামবেন, তখন থেকেই বড় শট খেলতে হবে।
আরও পড়ুন: মাটিতে শুয়ে পড়ে প্রভসিমরনের অসাধারণ ক্যাচ ধরলেন যুজি, দেখে চোখ কপালে বোলার বোল্টের- ভিডিয়ো
কোহলির থেকে শেখার আছে: বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা বরাবরই আমার কাছে দু'জন বড় ব্যাটিং আইডল। আমি বিরাট ভাইয়ার প্রতিটি নেট সেশন দেখে ওর পায়ের কাজ এবং খেলার ধরন লক্ষ্য করি। সেগুলি দেখে একটি পয়েন্ট তৈরি করি। আমি আমার নিজের খেলায় খুব বেশি পরিবর্তন করতে চাই না, তবে আমি চেষ্টা করি, ওর কাছ থেকে কিছু শেখার। আপনি যখন ওর সাথে ম্যাচে ব্যাটিং করেন তখন আপনি আত্মবিশ্বাসে পুরো পূর্ণ থাকেন। তখন আপনি জানেন, বিশ্বের সেরা ব্যাটার অন্য প্রান্তে রয়েছে। বোলাররা কোথায় বল করতে পারে এবং আমরা কোন এলাকায় টার্গেট করতে পারি, সেই বিষয়ে ও আমাকে গাইড করে দেয়। ও কী ভাবে ওর ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যায়, ও ওর ব্যাটিং নিয়ে কী ভাবে চিন্তা করে, এগুলি ওর থেকে শেখার আছে।