রাত সাড়ে বারোটা পার। খেলা শেষ হলও কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়াম। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে সেলিব্রেশনে মত্ত তখন ইডেন গার্ডেন্স। ২০২৪ আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে জায়গা পাক করে ফেলল নাইটরা। আর তার পরেই ইডেন জুড়ে উচ্ছ্বাসে মাতলেন শ্রেয়স আইয়াররা।
আরও পড়ুন: ব্যাটাররা কিছুই করে উঠতে পারিনি- নাইটদের কাছে হেরে রোহিত, সূর্যদের নিশানা করলেন হার্দিক
দল প্লে-অফে উঠতেই, শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু কেকেআর-এর
শনিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে ১০ বছর আগের স্মৃতি ফেরাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৪ সালে দু'বার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়েছিল কেকেআর। একবার কটকে, অন্য বার আবু ধাবিতে। এক দশক পরে আবার সেই স্মৃতিই ফিরল। ওয়াংখেড়ের পর ইডেনে ফের হার্দিক পান্ডিয়াদের হারাল কেকেআর। এক সপ্তাহে দু'বার। কাকতালীয় ভাবে যেবার রোহিতদের বিরুদ্ধে জোড়া জয় পেয়েছিল, সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নাইট রাইডার্স। সেবার আবার অধিনায়ক ছিলেন গৌতম গম্ভীর। এবারও নাইটদের ডাগআউটে উপস্থিত জিজি। তবে মেন্টর হিসেবে। তাই দুইয়ে দুইয়ে চার করে, শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করছে কেকেআর ভক্তরা।
আরও পড়ুন: হঠাৎ নাইটদের পোস্টে ফিরলেন DC মেন্টর সৌরভ, কী ব্যাপার?
নাইটেদর সেলিব্রেশনে আবেগে ভাসল ইডেন
শনিবারই ইডেনে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই নিয়ে এই মাঠে এবার সাতটির মধ্যে পাঁচটিতেই জয় পেয়েছে কেকেআর। শুধু রাজস্থান রয়্যালস এবং পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে তারা হেরেছিল। এর আগে ২০১০ সালে সৌরভের নেতৃত্বে এবং ২০১৫ সালে গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে নাইট রাইডার্স ইডেনে পাঁচ ম্যাচে জয় পেয়েছিল। এর পর ফের ২০২৪ সালে শ্রেয়স আইয়ারের অধিনায়কত্বে একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটল। স্বভাবতই সব মিলিয়ে এদিনটা ছিল নাইটদের সেলিব্রেশনের দিন।
যে কারণে ম্যাচ শেষে কলকাতার দর্শকদের ধন্যবাদ জানায় কেকেআর ব্রিগেড। ম্যাচের পর নাইট রাইডার্সের পতাকা হাতে তারা গোটা মাঠ প্রদক্ষিণ করে। ভক্তদের উদ্দেশ্যে সই করা টেনিস বল গ্যালারিতে পাঠান গৌতম গম্ভীর। কেকেআর ব্রিগেডের সঙ্গে আবেগে ভাসে ইডেনও।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
এদিকে শনিবার আবহবিদদের পূর্বাভাস মিলিয়ে বিকাল থেকেই বৃষ্টি নামে কলকাতায়। ঢেকে ফেলতে হয় ইডেন গার্ডেন্সের সবুজ গালিচা। বৃষ্টি থামার পর কলকাতা-মুম্বইয়ের খেলা শুরু করতে বেজে যায় রাত সোয়া ৯টা। ওভার সংখ্যা কমে হয় ১৬। এদিকে টসে হারার ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন শ্রেয়স। টানা সাত ম্যাচ টসে হারলেন তিনি। যাইহোক প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নাইটরা ৭ উইকেটে ১৫৭ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৬ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৯ রান করে। ১৮ রান জয় পায় নাইট রাইডার্স।