সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েই ২০২৪ আইপিএলের ফাইনালে উঠে পড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে তারা ৩৮ বল বাকি থাকতে এক তরফা ভাবেই আট উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। আর ফাইনালে ওঠার পর নিজের উচ্ছ্বাস চেপে রাখেননি কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, তাঁর দল প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে, যার জেরে সাফল্য এসেছে। সানরাইজার্সের ইনিংস ১৫৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর, রান তাড়া করতে নেমে কেকেআর মাত্র ১৩.৪ ওভারে দুই উইকেটে ১৬৪ রান করে ফেলে। সেই সঙ্গে চতুর্থ বারের মতো আইপিএল ফাইনালে উঠে পড়ল কলকাতার দল।
জয়ের পর উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারলেন না শ্রেয়স
ম্যাচ শেষে শ্রেয়স বলেন, ‘আমি সত্যিই খুব খুশি। প্রত্যেকেই তাদের দায়িত্ব দুর্দান্ত ভাবে পালন করেছে। পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যখন গোটা দেশ জুড়ে ভ্রমণ করে খেলতে হয়, তখন এভাবে পুনরুজ্জীবিত হওয়াটা সহজ হয় না। আমরা সব সময়ে বর্তমানে থাকার চেষ্টা করেছি, যা এই ম্যাচে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা যে সুযোগই পেয়েছি, তার পুরো সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি।’
বোলারদের বাহবা
এদিন কেকেআর বল হাতে শুরুটা দুরন্ত করেছিল। মাঝে কিছুটা সময়ে বোলারদের অবশ্য মার খেতে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাইট বোলাররা ফের ম্যাচের রাশ হাতে নিয়েছেন। এবং হায়দরাবাদকে ১৫৯ রানে অলআউট করে দিয়েছে। যে কারণে শ্রেয়স ম্যাচের পর বলেছেন, ‘স্টার্কসহ সব বোলারই ভালো পারফর্ম করেছে। প্রত্যেক বোলার যেভাবে তার দায়িত্ব পালন করেছে, তা দুর্দান্ত ছিল। একটা সময়ে আমরা প্রতি ওভারে প্রায় নয় করে রান দিচ্ছিলাম, কিন্তু সেখান থেকে আমরা যেভাবে প্রত্যাবর্তন করেছি, তা অসাধারণ। প্রতিটি বোলারের মনোভাব ছিল লড়াই করে ফিরে আসা এবং উইকেট নেওয়া, যা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যখন আপনার বোলিংয়ে বৈচিত্র্য থাকে, তখন আপনি ভালো পারফর্ম করতে সক্ষম হন।’
আরও পড়ুন: হার্দিককে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়েছে- MI-এর ব্যর্থতা নিয়ে দাবি হরভজনের
ব্যাটারদের প্রশংসা
বোলারদের পাশাপাশি এদিন ব্যাটাররাও নিরাশ করেননি। যার নিটফল, দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়ে ফাইনালে উঠেছে কেকেআর। ফিল্ট সল্টের পরিবর্তে এদিন সুনীল নারিনের সঙ্গে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ওপেন করেছিলেন। তবে খুব একটা নিরাশ করেননি গুরবাজ। ১৪ বলে ২৩ করে শুরুটা ভালোই করেছিলেন তিনি। নারিন আবার ১৬ বলে ২১ করেছিলেন। পরে শ্রেয়স এবং বেঙ্কটেশ আইয়ার মিলে অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
শ্রেয়স তাই দাবি করেছেন, ‘গুরবাজ দলে এসে দুর্দান্ত শুরু করেন। ও দলে ফিরে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। সুনীল মোমেন্টাম ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল, যে কারণে সেই পথে মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও এগোতে পেরেছে। আমার এবং বেঙ্কটেশের মধ্যে পার্থক্য হল, আমি তামিল বলি না, কিন্তু বুঝি। ও আমার সঙ্গে তামিল ভাষায় কথা বলে। আশা করি, ফাইনালেও একই ধারা বজায় রাখব।’