খামতি ঢাকতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা করা হয় রাজস্থান শিবিরের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। তবে এডিটিংয়ের খামতি নেটিজেনদের চোখে পড়তে বিশেষ সময় লাগেনি। নিতান্ত কাঁচা হাতের কাজ নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল বিদ্রুপের মুখে রাজস্থান রয়্যালস।
শুক্রবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হেরে আইপিএল ২০২৪ থেকে বিদায় নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। বিদায় বেলায় ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের একটি গ্রুপ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তারা। মূলত ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের কৃতজ্ঞতা জানাতেই রাজস্থানের এমন প্রয়াস। তবে ছবির ছোট্ট একটি খামতি চোখে পড়ে যায় ক্রিকেটপ্রেমীদের।
গ্রুপ ছবিতে রবিচন্দ্রন অশ্বিন অনুপস্থিত ছিলেন। অশ্বিনকে বাদ দিয়ে গ্রুপ ছবি অপূর্ণ থেকে যাবে। তাই ছবিটিকে এডিট করে তাতে অশ্বিনের উপস্থিতি জানান দেওয়ার চেষ্টা করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে। গোল বাঁধে এখানেই। অশ্বিনের ছবিটিকে খালি চোখে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে, অন্য কারও ছবির উপরে অশ্বিনের মুখ বসানো হয়েছে।
আসলে ছবিতে পেশিবহুল অশ্বিনকে দেখে চমকে যাওয়াই স্বাভাবিক। অনেকে তো অশ্বিনের বাইসেপ নিয়ে মজা করতেও সময় নষ্ট করেননি। পরে নেটিজেনরাই খুঁজে বার করেন যে, সন্দীপ শর্মার ছবির উপরে বসানো হয়েছে অশ্বিনের মুখ।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রাজস্থান রয়্যালসকে নিয়ে বিদ্রুপের মাঝেই এই নিয়েও চর্চা শুরু হয়ে যায় যে, গ্রুপ ছবি তোলার সময় অশ্বিন কোথায় ছিলেন! কেউ কেউ মজা করে মন্তব্য করেন যে, অশ্বিন সম্ভবত তাঁর ইউটিউব শোয়ে ব্যস্ত ছিলেন বলে ছবি তোলার সময় উপস্থিত থাকতে পারেননি।
উল্লেখ্য, রাজস্থান রয়্যালস আইপিএল ২০২৪-এর প্রথমার্ধে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে। তারা দীর্ঘ সময় লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান নিজেদের দখলে রাখে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পরপর ম্যাচ হেরে চাপে পড়ে যান সঞ্জু স্যামসনরা। শেষমেশ ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগের অভিযান শেষ করে রয়্যালস। তারা লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকে প্লে-অফে ওঠে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে রাজস্থানের পয়েন্ট সংখ্যা সমান ছিল। তবে নেট রান-রেটে পিছিয়ে থাকায় প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয় রয়্যালসের। তারা আরসিবির বিরুদ্ধে এলিমিনেটর ম্যাচে মাঠে নামে। এলিমিনেটরে বিরাট কোহলিদের হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলার যোগ্যতা অর্জন করে রাজস্থান। তবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা হেরে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে। ফলে এবারের মতো টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় সঞ্জু স্যামসনদের।