বিরাট কোহলির সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঝামেলা গত বছরও চর্চার কেন্দ্রে ছিল। ২০২৩ আইপিএলেও দুই তারকা একে অপরকে এড়িয়ে গিয়ে বিরাট বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলোও করেছিলেন দুই তারকা। অথচ এই বছর একেবারে উলট পুরাণ।
সৌরভ-কোহলির সম্পর্কের উলট পুরাণ
রবিবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচের পর সৌরভ-বিরাট একে অপরকে সৌজন্যের বার্তা দেন। বেঙ্গালুরু এবং দিল্লি ম্যাচের পরের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যে ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ম্যাচের শেষে দুই দলের ক্রিকেটাররা সৌজন্য বিনিময় করছেন। লাইন দিয়ে এক এক করে দুই দলের ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফেরা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন। একটা সময়ে মুখোমুখি হন সৌরভ এবং কোহলি। দু'জনেই হাসিমুখেই সৌজন্য বিনিময় করেন। সৌরভকে দেখা যায়, কোহলিকে কিছু বলতে। হেসে জবাবও দেন কোহলি। তাঁরা হ্যান্ডশেকও করেন।
নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতেই, একটা বিষয় নজর এড়ায়নি নেটিজেনদের। তা হল, বিরাট কোহলির সঙ্গে হাত মেলানোর আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর টুপিটি খুলে হাতে নেন। অনেকের মতে, বিরাটের প্রতি সম্মান জানাতেই এমনটা করেছেন সৌরভ। আর এতেই মন জিতেছেন বাংলার মহারাজ।
দুই তারকার কী নিয়ে ঝামেলা ছিল?
২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের চূড়ান্ত ভরাডুবি হয়। সেবার গ্রুপ লিগ থেকেই ছিটকে যায় টিম ইন্ডিয়া। তার পর কোহলি টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। স্বেচ্ছায় ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়ার পর, ওডিআই ক্রিকেটের অধিনায়কের পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করা হয়। তখন সৌরভ জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে কোহলিকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব না ছাড়ার অনুরোধ করেছিলেন। সেই সময়ে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ছিলেন সৌরভ। কিন্তু বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন কোহলি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সৌরভ তাঁকে কোনও অনুরোধই করেননি। এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। আর তার পর থেকে দুই তারকার সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে।
বেঁচে রয়েছে আরসিবি-র প্লে-অফের স্বপ্ন
রবিবার দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারানোর পর এই মুহূর্তে ১৩ ম্যাচ খেলে আরসিবি-র সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। তারা রয়েছে পয়েন্ট টেবলের পাঁচে। প্লে-অফে উঠতে হলে, ১৮ মে নিজেদের শেষ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে সবার আগে হারাতে পারে। নিজেরা হারলেই, সব আশা শেষ। আরসিবি জিতলে ১৪ ম্যাচের শেষে সিএসকে এবং বিরাট কোহলিদের পয়েন্ট হবে ১৪ করে। এক্ষেত্রে রানরেটের কথাটাও মাথায় রাখতে হবে। তবে এখানেই শেষ নয়। এর জন্য অন্য দলগুলোকে হারতে হবে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে বাকি দু'ম্যাচ হারতে হবে। দিল্লি, লখনউ এবং গুজরাটও ১৪ পয়েন্টে শেষ করতে পারে। তাদেরও হারতে হবে। সব মিলিয়ে এখন নিজেদের জয় ছাড়াও, অন্য দলগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে আরসিবি-কে।