চোট থেকে প্রত্যাবর্তনের পর আইপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে নিরাশ করলেও, বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সূর্যকুমার যাদবকে ফের চেনা ছন্দে পাওয়া গিয়েছে। তাঁর ৩৬০-ডিগ্রি হিটিং ফর্মে ফিরে এসেছেন তিনি। তিনি ওয়াংখেড়েতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (এমআই) সহজ সাত উইকেটের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯ বলে ঝোড়ো ৫২ রান করে নিজের প্রত্যাবর্তনের জোরালো ঘোষণা করেন সূর্য।
আরসিব-র দেওয়া ১৯৭ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন এমআই ২৭ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে। সেই সঙ্গে ২০২৪ আইপিএলের শুরুতেই হারের হ্যাটট্রিক করার যন্ত্রণা কাটিয়ে, পরপর দুই ম্যাচ জিতে অক্সিজেন পেল মুম্বই। এ দিকে আরসিবি ছয় ম্যাচের মধ্যে এই পাঁচ নম্বর ম্যাচ হেরে বসে থাকল। এদিন বল হাতে বিধ্বংসী পারফরম্যান্স করেছেন জসপ্রীত বুমরাহ। তিনি ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: DC ম্যাচে পাওয়া যাবেই না, কবে মাঠে ফিরবেন মায়াঙ্ক? আপডেট দিলেন LSG কোচ ল্যাঙ্গার
‘বুমরাহের বিরুদ্ধে নেটে ব্যাট করি না’
ম্যাচের শেষে পরে বুমরাহের অবদান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, সূর্য দাবি করেছেন, তিনি নেটে তাঁর এমআই এবং ভারতের সতীর্থের মুখোমুখি হন না। কারণ ডানহাতি পেসারের জন্য সূর্যের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ম্যাচ পরবর্তী উপস্থানায় সূর্য বলেছেন, ‘আমি ওর (বুমরাহ) বিরুদ্ধে নেটে ব্যাট করি না প্রায় ২-৩ বছর হয়ে গিয়েছে। কারণ ও হয় আমার ব্যাট ভেঙ্গে দেয় বা আমার পা ভেঙ্গে দেয়।’
আরও পড়ুন: টপলি যেন ‘উড়ন্ত বাজ’, বাঁ-দিকে লাফিয়ে এক হাতে রোহিতের ক্যাচ ধরলেন, ভাইরাল হল ভিডিয়ো
‘ইশান রোহিত কাজটা সহজ করে দিয়েছিল’
রান তাড়া করার সময়ে মুম্বই কখনও-ই কোনও রকম সমস্যায় পড়েনি। কারণ ওপেনার ইশান কিষান (৩৪ বলে ৬৯) এবং রোহিত শর্মা (২৪ বলে ৩৮) ৮.৪ ওভারে ওপেনিং জুটিতেই ১০১ রান করে ফেলেছিলেন। এর পর সূর্য ঝড় তোলেন। শেষে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার ৬ বলে অপরাজিত ২১ রান মুম্বইকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।
ওয়াংখেড়ে রানে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত সূর্য। তিনি জানিয়েছেন, যখন দলের সঙ্গে ছিলেন না, তখনও এখানেই মন পড়ে থাকত। বলেওছেন, ‘ওয়াংখেড়েতে ফিরে আসা সব সময়েই ভালো। যখন টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল তখন আমি মানসিক ভাবে এখানেই ছিলাম, যদিও শারীরিক ভাবে বেঙ্গালুরুতে রিহ্যাব করছিলাম। তবে মনে হচ্ছিল, আমি কখনও-ই ছেড়ে যাইনি।’
সূর্যও আরও যোগ করেছেন, ‘যখন আপনি ২০০ রান তাড়া করছেন, তখন শিশির ফ্যাক্টর হবে, সেটা সকলের জানা এবং আপনার সুযোগগুলি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। রোহিত এবং ইশান দু'জনেই আমাদের জন্য কাজটি সহজ করেছিল। এবং আমরা জানতাম যে, নেট রান রেটের জন্য আমাদের তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে।’
নিজের ইনিংস নিয়ে বলতে গিয়ে সূর্য বলেছেন, ‘আমি শুধু মাঠে খেলার চেষ্টা করি এবং এই শটগুলি অনুশীলন করি। আর মাঠে আমি খেলাটা উপভোগ করি। স্লাইস ওভার পয়েন্টটি আমি সবচেয়ে উপভোগ করেছি।’