শুভব্রত মুখার্জি:- ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটেই খেলছেন এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা খুব কম। তিন ফর্ম্যাটেই সমান দাপটের সঙ্গে যে কয়েকজন ক্রিকেটার খেলছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বিরাট কোহলি। তিন ফর্ম্যাটেই তাঁর পারফরম্যান্স অত্যন্ত ধারাবাহিক। যে কোন বোলিং আক্রমণের কাছেই মাথা ব্যথার কারণ বিরাট কোহলি।
আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপেও ভারতের হয়ে তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন তা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন সকল বিশেষজ্ঞ। তবে আজকের এই বিরাট কোহলি রাতারাতি একদিনে হয়ে ওঠেননি। বছরের পর বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠার ফলে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছেন বিরাট। পাশাপাশি ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর মনে করেন আজকে কোহলি যে জায়গায় রয়েছেন সেই জায়গায় তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার পিছনে হাত রয়েছে ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির।
স্টার স্পোর্টসকে এক সাক্ষাৎকারে গাভাসকর জানিয়েছেন, ‘যখন বিরাট কোহলি ওর কেরিয়ার শুরু করেছিল তখন ওর কেরিয়ারটা অনেকটা স্টপ-স্টার্ট টাইপের ছিল। এমএস ধোনি ওর কেরিয়ারে অতিরিক্ত মোমেন্টাম যোগ করে। আর সেই কারণেই আজ যে জায়গায় ও দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই জায়গায় ওকে আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই কথার লড়াইতে জড়িয়েছিলেন সুনীল গাভাসকর এবং বিরাট কোহলি। প্রথমে গাভাসকরের তরফে কোহলির স্লো স্ট্রাইক রেটের সমালোচনা করা হয়। যার জবাব দেন কোহলি। কোহলির জবাবের পরবর্তীতে ফের গাভাসকর মুখ খোলেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল আমরাও অল্প বিস্তর ক্রিকেটটা খেলেছি। কোহলিকে তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘বাইরের আওয়াজে যখন কোন পাত্তা দাও না বলছ তখন কেন বাইরের আওয়াজের জবাব দিতে যাও?’
কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে গাভাসকর বলেছিলেন, ‘তুমি প্রথম বলটা (ইনিংসের) ফেস করছ। তার পরেও তোমার স্ট্রাইক রেট ১১৮। এরপর ১৪ কিংবা ১৫ ওভারে তুমি আউট হয়ে যাচ্ছ। ওই সময়েই দলের রানের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন। সেই সময়ে ১১৮ স্ট্রাইক রেট নিয়ে তুমি আউট হয়ে যাওয়ার পরেও যদি হাততালি চাও তাহলে সেই বিষয়টা আলাদা।’
এর উত্তরে বিরাট কোহলি বলেন, ‘আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে যাদের বলার তারা বলবেই। আমি স্পিন ভালো খেলি না এতটাও অনেকে বলছে। তাদেরকে আমি বলতে চাই দলের হয়ে ট্রফি জেতাটাই আমার লক্ষ্য। আর সেটা করতেই ১৫ ওভার ধরে আমি দিনের পর দিন এটাই করে আসছি। আর এতেই আমি সাফল্য পেয়েছি। আমি জানি না এই পরিস্থিতিতে থাকলে অন্যরা কি করত। বক্সে (ধারাভাষ্যকার) বসে বলা আর মাঠে নেমে করার মধ্যে ফারাক রয়েছে। মানুষরা তাদের ভাবনা চিন্তার কথা প্রতিদিন বলতেই পারে। তবে তার সঙ্গে বাস্তবের কতটা মিল রয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
এরপরেই গাভাসকর বলেন, ‘বাইরের আওয়াজকে পাত্তা দাওনা বলো।তাহলে বাইরের আওয়াজের প্রত্যুত্তর কেন দাও? আমরা সবাই অল্প বিস্তর ক্রিকেটটা খেলেছি। আমাদের কাজ হল যেটা বাস্তবে ঘটছে সেটাকেই বর্ননা করা। আমাদের ভালা লাগা বা মন্দ লাগা আছে এবং থাকবেই কিন্তু আমরা ধারাভাষ্যকার হিসেবে যেটা ঘটছে সেটাই তুলে ধরি।’