সব কিছু যে ঠিক নেই, সেটা বোঝা গিয়েছে আইপিএল ২০২৪-এর মাঝেই। লখনউ সুপার জায়ান্টসের পারফর্ম্যান্সে হতাশ হয়ে মালিক গোয়েঙ্কা প্রকাশ্যেই খারাপ ব্যবহার করেন ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে। পরে বিপর্যয় মোকাবিলার চেষ্টা করেও ক্ষত ঢাকা সম্ভব হয়নি। লোকেশ রাহুল আইপিএল ২০২৫-এর আগে দল ছাড়তে চলেছেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়।
আইপিএল ২০২৫-এর প্লেয়ার রিটেনশন নিয়ে চর্চার মাঝেই লোকেশ রাহুল ও গোয়েঙ্কার বৈঠক আপাতত সেই জল্পনায় জল ঢালে। লখনউ সুপার জায়ান্টস নতুন মরশুমের জন্য লোকেশকে ধরে রাখতে চায় বলেই খবর। তবে হঠাৎ করে নতুন এক সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটমহলে।
লখনউ লোকেশকে ধরে রাখলেও তাঁকে নেতৃত্বে রাখবে না বলে খবর। রাহুল নেতৃত্বের চাপ ঝেড়ে ফেলে নিজের খেলায় মন দিতে চান বলে শোনা যাচ্ছে। লোকেশ যদি লখনউ সুপার জায়ান্টসের নেতৃত্ব ছাড়েন, তবে নতুন নেতা কে হবেন, সেই বিষয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এক্ষেত্রে ২টি নাম সবার আগে সামনে উঠে আসছে। একজনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্যাপ্টেন্সি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং অন্যজন বিসিসিআইয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটে রাজ্যদলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আগে। লখনউয়ের নতুন ক্যাপ্টেন হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান ও ভারতের ক্রুণাল পান্ডিয়া।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের এক সূত্র এই প্রসঙ্গে আইএএনএস-কে বলেন, ‘সোমবারের বৈঠকে মূলত রিটেনশন ও ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে আলোচনা হয়। নতুন মরশুমে সম্ভবত লোকেশ রাহুল ক্যাপ্টেন্সি করবে না। কেননা ও নিজের ব্যাটিংয়ে মন দিতে চায়। লোকেশ রাহুলের উপর গোয়েঙ্কার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। রাহুলকে প্লেয়ার হিসেবে ধরে রাখতে চলেছে লখনউ। তবে তাকে এবার নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ক্যাপ্টেন্সির সম্ভাব্য বিকল্পগুলি নিয়ে খতিয়ে দেখছি। বিসিসিআইয়ের প্লেয়ার রিটেনশন নীতি কী হয় সেটাও দেখার। তবে আপাতত দু’জন (নিকোলাস পুরান ও ক্রুণাল পান্ডিয়া) নেতৃত্বের দৌড়ে রয়েছে।'
উল্লেখ্য, আইপিএল ২০২৪-এর সময়েই গোয়েঙ্কাকে একান্তে কথা বলতে দেখা যায় রোহিত শর্মার সঙ্গে। রোহিত শর্মা ২০২৫ আইপিএলের আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ছাড়তে পারেন। তাঁকে সরিয়ে মুম্বই ইতিমধ্যেই হার্দিক পান্ডিয়াকে ক্যাপ্টেন করেছে। রোহিত যদি নিলামে অংশ নেন, তাহলে তাঁকে দলে নিতে অনেকেই ঝাঁপাবে সন্দেহ নেই। সেক্ষেত্রে নেতা হিসেবে লখনউয়ের বিবেচনায় থাকতে পারেন রোহিতও।