আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামের আগে প্লেয়ার রিটেনশন নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেনি বিসিসিআই। এরই মাঝে ইঙ্গিত মিলল যে, কবে কোথায় অনুষ্ঠিত হতে পারে আইপিএলের ক্রিকেটার কেনা-বেচার আসর। এবছর আর মিনি নিলাম থেকে প্রয়োজন মতো ক্রিকেটার কিনে দলের ফাঁক-ফোকর ভরাট করা নয়, বরং সব আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিকে কার্যত ঢেলে সাজাতে হবে স্কোয়াড।
ক্রিকবাজের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইপিএলের মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের নভেম্বরে। যদিও নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ এখনও স্থির করা হয়নি। তবে বিসিসিআইয়ের অন্দরমহলের খবর, নভেম্বরের তৃতীয় বা চতুর্থ উইকএন্ডে অনুষ্ঠিত হবে আইপিএল অকশন।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এবারও আইপিএল নিলাম অনুষ্ঠিত হতে পারে বিদেশের মাটিতে। গত বছর আইপিএল নিলাম আয়োজিত হয় দুবাইয়ে। যা সম্ভাবনা, তাতে মিডল-ইস্টের কোনও গাল্ফ শহরেই আয়োজন করা হতে পারে আইপিএল নিলাম। দোহা বা আবু ধাবির মতো শহরের কথা ভাবা হচ্ছে বোর্ডের তরফে।
সম্প্রতি সৌদি আরব ক্রীড়াক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ শুরু করেছে। ক্রিকেটের প্রতিও পর্যাপ্ত আগ্রহ দেখাচ্ছে তারা। শোনা যাচ্ছে যে, আইপিএল নিলাম আয়োজনের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি। অবশ্য বিসিসিআই আইপিএল নিলামের কেন্দ্র নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
রিটেনশন নিয়ে এখনও কোনও নিয়ম কানুন জানায়নি বিসিসিআই। অথচ আইপিএল নিলাম নিয়ে বোর্ডের তরফে ইঙ্গিত পৌঁছে গিয়েছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির কাছে। এই বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে। বোর্ডের তরফে রিটেনশনের নিয়ম জানাতে দেরি হবে বলে ইঙ্গিত মেলায় অনেক ফ্র্য়াঞ্চাইজিই সংশয় প্রকাশ করছে যে, স্কোয়াড নিয়ে পরিকল্পনা করার মতো পর্যাপ্ত সময় হাতে পাওয়া যাবে তো?
রিপোর্ট অনুযায়ী বিসিসিআই সেপ্টেম্বরের শেষেই প্লেয়ার রিটেনশন নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে নিলামের আগে দু'মাস সময় থাকবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির হাতে। বোর্ডের কাছে ধরে রাখা ও ছেড়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দেওয়া শেষ তারিখ হতে পারে ১৫ নভেম্বরের আশেপাশে।
উল্লেখ্য, বিসিসিআই বহু আগে থেকেই বিদেশে আইপিএল নিলাম আয়োজনের কথা ভেবে আসছে। গত বছর সেটা সম্ভব হয়। এর আগে আইপিএল নিলামের সম্ভাব্য কেন্দ্র হিসেবে লন্ডন ও ইস্তানবুলের নাম উঠে এসেছিল আলোচনায়। এখন দেখার যে, আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলাম শেষমেশ কোন শহরে অনুষ্ঠিত হয়।