আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামে রাইট টু ম্যাচ কার্ড ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। অর্থাৎ, প্রাথমিক রিটেনশনের পরেও নিলাম থেকে নিজেদের পুরনো স্কোয়াডের ক্রিকেটার ধরে রাখার সুযোগ পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। ২০১৮ সালের মেগা নিলামে শেষবার ব্যবহার করা হয়েছিল আরটিএম। যদিও এবার সেই নিয়মে একটু বদল আনছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অর্থাৎ, নিলামের আসরে এবার নতুন আঙ্গিকে পেশ করা হবে রাইট টু ম্যাচ কার্ড।
আরটিএম-এ পুরনো নিয়ম কী ছিল
কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির ছেড়ে দেওয়া ক্রিকেটারের জন্য নিলামে অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ দর হাঁকার পরে পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সামনে সুযোগ থাকত সেই সর্বোচ্চ দামে নিজেদের ক্রিকেটারকে দলে ফেরানোর।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, বিরাট কোহলিকে যদি আরসিবি ছেড়ে দেয় এবং নিলামে মুম্বইয়ের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে সিএসকে যদি বিরাটের জন্য সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকার দর হাঁকে, তবে রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করে সেই ১০ কোটি টাকার বিনিময়েই আরসিবি ঘরে ফেরাতে পারত কোহলিকে। এবার সেই নিয়মে কিছুটা বদল আসছে।
নতুন নিয়মে কীভাবে ব্যবহার করা যাবে আরটিএম
নতুন নিয়ম অনুযায়ী পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আরটিএম ব্যবহারে সম্মত হওয়ার পরেও নতুন যে ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ দর হেঁকেছিল, তাদের আরও একবার সুযোগ দেওয়া হবে আরও একটু বেশি দর হাঁকার। পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সেই বাড়তি দামেই দলে নিতে হবে নিজেদের পুরনো ক্রিকেটারকে।
এক্ষেত্রে সেই একই উহাদরণ ব্যবহার করা যাক। ধরা যাক বিরাট কোহলিকে আরসিবি স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দিল। নিলামে মুম্বইয়ের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে সিএসকে কোহলির জন্য সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা দর হাঁকল। তখন আরসিবিকে জিজ্ঞাসা করা হবে তারা আরটিএম ব্যবহার করে কোহলিকে দলে ফেরাতে চায় কিনা। আরসিবি যদি সম্মত হয়, তবে ফের চেন্নাইকে সুযোগ দেওয়া হবে আরও বেশি দর হাঁকার। এবার সিএসকে যদি ১০ কোটি থেকে দর বাড়িয়ে ১৫ কোটি হাঁকে, তবে আরসিবিকে আরটিএম ব্যবহার করে সেই ১৫ কোটি টাকার বিনিময়ে কোহলিকে দলে ফেরাতে হবে। আরসিবি যদি তাতে রাজি না হয়, তবে ১৫ কোটিতে চেন্নাইয়ে যোগ দেবেন বিরাট।
আর চেন্নাই যদি ১০ কোটির অঙ্ক আর বাড়াতে না চায়, তবে আরসিবি কোহলিকে রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করে ১০ কোটিতেই দলে নিতে পারবে।
কেন এই নিয়ম বদল
আসলে ক্রিকেটারদের অনেকেই রাইট টু ম্যাচ কার্ডের বিষয়টি পছন্দ করেন না। অশ্বিনের মতো ক্রিকেটার তো স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি কোনও ক্রিকেটারকে ধরে না রাখে, তবে বুঝে নিতে হবে যে সেই ক্রিকেটার সংশ্লিষ্ট দলের প্রথম চার-পাঁচজনের মধ্যে আসেন না। তাছাড়া নিলামে একটি দলের হাঁকা দরে অন্য দল কীভাবে কোনও ক্রিকেটারকে কিনতে নিতে পার, সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করে অন্য দলের কাছ থেকে ক্রিকেটারকে ছিনিয়ে নিতে হলে তার থেকে বেশি দাম দেওয়া উচিত।