ক্রিকেটার জীবনে অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ ছিলেন। কোচ হিসেবেও দায়বদ্ধতা থেকে মুহূর্তের জন্য সরে আসেননি তিনি। রাহুল দ্রাবিড় ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন, কেন ক্রিকেটবিশ্বের সম্ভ্রম আদায় করে নেন তিনি। পায়ের চোটে রীতিমতো কাবু দ্রাবিড়। প্লাস্টার নিয়ে হাঁটাচলা করা কার্যত অসম্ভব। তা সত্ত্বেও রাজস্থান রয়্যালসের অনুশীলনে গড়হাজির হননি সঞ্জু স্যামসনদের হেড কোচ।
বাকি দলগুলির মতো আইপিএল ২০২৫-এর আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাজস্থান রয়্যালসও। শেষ বেলার এই প্রস্তুতি শিবিরে কোচের হাজির থাকা অত্যন্ত জরুরি। বিদেশি ক্রিকেটাররা কার্যত শেষ বেলাতেই যোগ দেন নিজেদের আইপিএল দলের সঙ্গে। একসঙ্গে পুরো স্কোয়াডের অনুশীলন দেখে বোঝা যায় কে কেমন ছন্দে রয়েছেন। সেই মতো গেম প্ল্যান স্থির করা যায়। নির্ধারণ করা যায় সঠিক কম্বিনেশন।
রাজস্থান কোচ দ্রাবিড়ও এই সময়টাকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি কাছ থেকে দেখতে চাইছেন খেলোয়াড়দের পরিস্থিতি। তাই চোট নিয়েও নিয়ম করে উপস্থিত হচ্ছেন দলের অনুশীলনে। আগে ক্রাচে ভর করে দ্রাবিড়কে রাজস্থানের অনুশীলনে দেখা গিয়েছিল। তবে তাতে সারা মাঠ ঘুরে অনুশীলনে তদারকি করা কঠিন। তাই দ্রাবিড়কে এবার দেখা যায় ইলেকট্রিক হুইলচেয়ারে করে দলের প্র্যাক্টিস সেশনে আসতে।
অথচ রাহুল চাইলে সহকারীদের দিয়ে অনায়াসে দলের অনুশীলন পরিচালনা করতে পারতেন। দায়সারা মনোভাবকে যে তিনি কখনও প্রশ্রয় দেন না, সেটা বোঝা যায় রাহুলের আচরণেই।
কীভাবে চোট পান দ্রাবিড়?
রাহুল দ্রাবিড় গত ২২ ফেব্রুয়ারি নাসুর মেমোরিয়াল শিল্ডে কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ-ওয়ান থার্ড ডিভিশন লিগ ম্যাচে মাঠে নামেন নিজের ছেলের সঙ্গে। দ্রাবিড় ও তাঁর পুত্র অনভয় মাঠে নামেন বিজয় ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে। ইয়ং লায়ন্স ক্লাবের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে খেলার সময় কাফ মাসলে চোট পান দ্রাবিড়।
ইনিংসের শুরুর দিকেই দ্রাবিড় পায়ে অস্বস্তি অনুভব করছিলেন। ১৮তম ওভারে রান নেওয়ার সময়ে পড়ে যান তিনি। সতীর্থদের সাহায্য নিয়ে মাঠের বাইরে যেতে হয় তাঁকে। সেই থেকেই দ্রাবিড়ের পায়ে প্লাস্টার রয়েছে। চোট নিয়ে বাড়িতে বসে থাকতে রাজি ছিলেন না দ্রাবিড়। তিনি বেঙ্গালুরু থেকে সোজা যোগ দেন রাজস্থান রয়্যালসের টিম হোটেল। নিজের গতিবিধি শুধু টিম হোটেলে সীমাবদ্ধ রাখতেও রাজি ছিলেন না জ্যামি। আইপিএল ২০২৫-এর আগে তিনি কার্যত নিয়ম করে রাজস্থান রয়্যালসের প্র্যাক্টিস সেশনে উপস্থিত থাকেন।