শুভব্রত মুখার্জি:- ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ অর্থাৎ আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস দল। পাঁচ পাঁচ বার তারা এই ট্রফি জিতেছে। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে আইপিএলে সিএসকে দল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগেও রয়েছে সুপার কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজির দল। ভারতের বিভিন্ন শহরে নবীন প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের ক্রিকেটারদের তুলে আনতেও তারা কাজ করে। তবে এবার তারা ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে পা রাখছে বিদেশের মাটিতে।
যদিও এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও বিদেশের মাটিতে সুপার কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের অ্যাকাডেমি করেছে। এবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে তারা একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি খুলছে। বুধবার এই খবরটি ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে নিশ্চিতও করা হয়েছে। বিদেশের মাটিতে সিএসকের এটি তৃতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি।
সিএসকের তরফে এর আগে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে এবং ইংল্যান্ডে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি খোলা হয়েছে। এবার তারা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতেও খুলল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। ১৬১ সিলভার ওয়াটার রোডের ক্রিকেট সেন্ট্রালের অলিম্পিক পার্কে এই অ্যাকাডেমি করল সিএসকে।
বছরের সবসময়েই যাতে এই অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন বজায় থাকে সেই কারণে ইন্ডোর এবং আউটডোরের সুবিধা রাখা হয়েছে এই অ্যাকাডেমিতে। বর্ষার সময়ে বাইরে অনুশীলনে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেই কারণে এই অ্যাকাডেমিতে খোলা হয়েছে ইন্ডোর ইউনিটও। এই সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অ্যাকাডেমিতে শুরু হতে চলেছে অনুশীলনের সুবিধা। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্য এই অ্যাকাডেমিতে ক্রিকেট শেখার সুযোগ থাকছে বলে জানানো হয়েছে।
সিএসকের সিইও এই নয়া অ্যাকাডেমি খোলার বিষয়টি সামনে এনেছেন। সিইও কাশি বিশ্বনাথান জানিয়েছেন তিনি এই নয়া অ্যাকাডেমি নিয়ে খুবই উত্তেজিত এবং আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন, ‘অস্ট্রেলিয়াতে আমাদের যে অসাধারণ সফর সেই সফরকে আরও মজবুত এবং দীর্ঘায়িত করতে আমরা এই অ্যাকাডেমি শুরু করতে চলেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা সকলেই খুব উত্তেজিত।’
তিনি আরও বলেন, '২০০৮ সালে যখন প্রথম আইপিএল শুরু হয় সেই সময় থেকেই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন দেশ। তাঁদের খেলাধুলার সংস্কৃতিও দুরন্ত। এখানে সুপার কিংস অ্যাকাডেমি ছেলে এবং মেয়ে উভয় বিভাগে নবীন প্রতিভাদের তুলে এনে তাদেরকে সযত্নে লালন পালন করবে। দেশের ইতিমধ্যেই শক্তিশালী স্পোর্টিং সংস্কৃতির অঙ্গ হতে পেরে আমাদের খুব ভালো লাগছে। ক্রিকেটের সঙ্গে সঙ্গে ভৌগলিক দূরত্ব কমে আসছে। আমরা ভারত, আমেরিকা, ইংল্যান্ডের পর এবার অস্ট্রেলিয়াতেও পা রাখছি। দেশের পরবর্তী জেনারেশনকে তৈরিই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের এখানে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। রয়েছে বিশ্বমানের কোচরাও। আমরা পরবর্তীতে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামও চালু করার পরিকল্পনা করেছি।'