আইপিএলে গতবারই দেখা গেছে এমন অনেক ক্রিকেটারই নজর কাড়ছিলেন যারা অনেক কম দামেই বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলছেন। অর্থাৎ বেস প্রাইসে শশাঙ্ক সিংকে কিনেছিল পঞ্জাব কিংস। অথচ পরে দেখা যায়, যখন পরপর ম্যাচে শিখর ধাওয়ান, জনি বেয়ারস্টো, শিখর ধাওয়ানরা ব্যর্থ হচ্ছেন তখনই শশাঙ্ক সিং একের পর এক ম্যাচে দলকে ভালো সার্ভিস দিচ্ছেন। আরও ভালো কথায় বলতে গেলে, হারতে থাকা পঞ্জাব দলের মধ্যেও জয়ের একটা লড়াই গড়ে তুলছেন তাঁঁরা। অথচ তাঁরাই দলের অন্যতম কম দাম পাওয়া ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন-পঞ্চম একদিনের ম্যাচে DLS মেথডে ইংল্যান্ড বধ অজিদের! অলরাউন্ডার হেডের ম্যাজিকে সিরিজ জয়…
এমন ক্রিকেটারদের কথা ভেবেই এবারে বিসিসিআইয়ের এজিএমে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কম দাম পাওয়া ক্রিকেটাররা যেন বঞ্চিত না হন, সেই জন্য প্রথম একাদশে সুযোগ পেলেই ক্রিকেটাররা পাবেন ৭.৫ লক্ষ টাকা করে। অর্থাৎ একজন ক্রিকেটার যদি নিজের দলের হয়ে ১৪টি ম্যাচই খেলেন, তাহলে তিনি প্রায় ১ কোটি টাকা অতিরিক্ত পাবেন নিজের দামের থেকে বেশি।
মূলত ক্রিকেটারদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের আইপিএল কমিটিতে আসা অরূণ ধুমল। বিসিসিআইয়ের নেওয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে এবার থেকে নিলাম এবং রিটেশনের ১২০ কোটি টাকা ছাড়াও দলগুলোকে অতিরিক্ত ১২.৬ কোটি টাকা হাতে রাখতে হবে, ক্রিকেটারদের জন্য।
অরূণ ধুমল বলছেন, ‘আমরা লক্ষ্যে করেছি বিগত কয়েকবছর ধরেই, এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন যারা অনেক কম দামে দলে যোগ দেওয়ার পর নিজেদের প্রমাণ করে ধারাবাহিকভালো ভালো খেলে, অথচ যোগ্য দাম পায় না। ফলে সেই ক্রিকেটাররা যাতে সম্মানজনক একটা অর্থ পায় প্রতিযোগিতার শেষে, সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আইপিএলের গভার্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে’।
অরূণ ধুমল আরও বলছেন, ‘ক্রিকেটাররাই কিন্তু প্রতিযোগিতার আসল, তাই তাঁদের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। আর আইপিএলের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম খেলার ক্ষেত্রে আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে। সেটা একজন অতিরিক্ত ব্যাটারকে যেমন সুযোগ দিয়েছে, তেমন একজন বোলারকেও নিজের স্কিল দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছে’। মার্চ মাসের ২৮ তারিখ থেকে শুরু হতে পারে আগামী বছরের আইপিএল।