সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাবরের ঠুকঠুকে ব্যাটিংয়ের মাশুল দিয়ে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে বসে পাকিস্তান। প্রথম টি-২০ ম্যাচে পাকিস্তানের ঝুলিয়ে দেওয়া টার্গেটে পৌঁছে জয় তুলে নেন আইরিশরা। এবার দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ফের ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখে আয়ারল্যান্ড। তবে রিজওয়ান-ফখর জুটির সৌজন্যে দাপুটে জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় পাকিস্তান।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ব্যাট হাতে ডাহা ফেল বাবর আজম। তিনি শূন্য রানে আউট হয়ে বসেন। ফলে খুব বেশি বল নষ্ট করার সুযোগ পাননি পাক দলনায়ক। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রবিবার বল হাতে নজরকাড়া পারফর্ম্যান্স মেলে ধরেন শাহিন আফ্রিদি।
ডাবলিনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আয়ারল্যান্ড। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৩ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। উইকেটকিপার লরকান টাকার লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এছাড়া অ্যান্ডি বলবির্নি ১৬, পল স্টার্লিং ১১, হ্যারি টেক্টর ৩২, কার্টিস ক্যাম্ফার ২২, জর্জ ডকরেল ১৫, গ্যারেথ ডেলানি ২৮, মার্ক আডায়ার ৯ ও গ্রাহাম হিউম ২ রানের যোগদান রাখেন। শাহিন আফ্রিদি ৪ ওভারে ৪৯ রান খরচ করলেও ৩টি উইকেট তুলে নেন। ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি। ১টি করে উইকেট নেন মহম্মদ আমির ও নাসিম শাহ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ১৬.৫ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। মহম্মদ রিজওয়ান ৪৬ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ৪০ বলে ৭৮ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে আউট হন ফখর জামান। তিনি ৬টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন।
১০ বলে ৩০ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন আজম খান। তিনি ১টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ৩ বলে ৬ রান করে আউট হন সইম আয়ুব। ৪ বল খেলেও খাতা খুলতে পারেননি ক্যাপ্টেন বাবর আজম। আইরিশদের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মার্ক আয়াডার, গ্রাহাম হিউম ও বেন হোয়াইট। ম্যাচ জেতানো ইনিংসের সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন পাক উইকেটকিপার-ব্যাটার মহম্মদ রিজওয়ান।