আঠারো বছর আগে যেভাবে আউট করেছিলেন, শনিবার কার্যত সেভাবেই ইউনিস খানকে ফেরত পাঠালেন ইরফান পাঠান। মূল তফাতের মধ্যে ২০০৬ সালের ২৯ জানুয়ারির পাকিস্তানের তৎকালীন তারকা ব্যাটার এলবিডব্লু হয়েছিলেন। আর শনিবার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডসের ফাইনালে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। সেই দৃশ্য দেখার পরে নস্ট্যালজিয়ায় ভেসে গিয়েছেন নেটিজেনরা। এমনকী ইন্ডিয়া লেজেন্ডস ও পাকিস্তান লেজেন্ডসের ফাইনাল ম্যাচ দেখার মধ্যেই পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার ওয়াকার ইউনিস বলেন, ‘আমি আগেও এরকমভাবে ইউনিসকে আউট করতে দেখেছি। প্রায় একইরকমভাবে (ইউনিসকে) আউট করল (ইরফান)। সেদিন বলটার আরও বেশি সুইং হয়েছিল।’
আর ‘সেদিন’ বলতে ২০০৬ সালের ২৯ জানুয়ারির কথা বলছেন ওয়াকার। তৃতীয় টেস্টে করাচিতে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। চতুর্থ বলে সলমন বাটকে আউট করে দিয়েছিলেন ইরফান। পঞ্চম বলেই ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠিয়েছিলেন ইউনিসকে। পরের বলেই মহম্মদ ইউসুফকে আউট করে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেছিলেন ইরফান।
২০০৬ সালে কীভাবে ইউনিসকে আউট করেছিলেন ইরফান?
একেবারে ফুল বল করেছিলেন ইরফান। বলটা পিচে পড়ে ভিতরের দিকে ঢুকে গিয়েছিল। সেই ইনসুইংয়ের কোনও জবাবই ছিল না ইউনিসের কাছে। ভুল লাইনে খেলতে গিয়েছিলেন। আর বলটা তাঁর সামনের প্যাডে আছড়ে পড়েছিল। জোরালো আবেদন করেছিলেন ইরফানরা। আম্পায়ার আঙুল তুলে দিয়েছিলেন। এক বলে শূন্য রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছিলেন ইউনিস।
আরও পড়ুন: IND vs PAK, WCL 2024 Final Live: কোনও মতে ১৫০ পার, ভারতের সামনে ১৫৭ রানের লক্ষ্য রাখল পাকিস্তান
শনিবার কীভাবে ইউনিসকে আউট করেন ইরফান?
ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডসের ফাইনালে অবশ্য প্রথম ওভারে নামতে হয়নি ইউনিসকে। দ্বাদশ ওভারের পঞ্চম বলে তাঁকে আউট করেন ইরফান। ওই বলটা একেবারে ‘পারফেক্ট’ লেংথে ফেলেন ভারতের প্রাক্তন তারকা বোলার। আড়াআড়িভাবে বলটা খেলার চেষ্টা করেন ইউনিস।
কিন্তু বলটা ভিতরের দিকে ঢুকে আসায় ইউনিস পুরোপুরি বেকায়দায় পড়ে যান। শটটা যখন চালাতে চান, তখন বলের কোনও হদিশই পাননি পাকিস্তান লেজেন্ডসের অধিনায়ক। ব্যাট এবং প্যাডের ফাঁকের মধ্যে বলটা স্টাম্পে আছড়ে পড়ে। ১১ বলে সাত রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান ইউনিস। তুমুল উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার।
আর ফাইনালে ম্যাচের কী অবস্থা?
শনিবার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডসের ফাইনালে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৫৬ রান তুলেছে পাকিস্তান লেজেন্ডস। সর্বোচ্চ ৩৬ বলে ৪১ রান করেন শোয়েব আখতার। ১২ বলে ২১ রান করেন শোয়েব মাকসুদ। নয় বলে অপরাজিত ১৯ রান করেন সোহেল তনভির। চার ওভারে ৪৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন অনুরিত সিং। পবন নেগি, ইরফান এবং বিনয় কুমার একটি করে উইকেট নেন।