লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের কোয়ালিফায়ার টুর ম্যাচে টোয়াম হায়দরাবাদ দলকে হারিয়ে দিল কোনার্ক সূর্য দল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ ওভারে মাত্র ১ রানে ম্যাচ জিতল ইরফান পাঠানের নেতৃত্বাধীন কোনার্ক সূর্য ওড়িশা দল। একটা সময় দেখে মনে হয়েছিল সহজেই ম্যাচ জিততে পারে নিজামের শহরের দল। কিন্তু কাশ্মিরের মাটিতে অসাধারণ পারফরমেন্স দেখালেন পাঠান।
আরও পড়ুন-খারাপ সময়ে ‘বাবর আজম’ দল থেকে বাদ পড়তেই ক্ষোভ প্রকাশ! পাক বোর্ডের রোষানলে ফাখর জামান!
শেষ তিন বলে তিন রান বাকি ছিল টোয়াম হায়দরাবাদ দলের। কোনার্ক সূর্যের অধিনায়ক ইরফান পাঠান বল হাতে তখনই কামাল দেখালেন। রানই করতে দিলেন না প্রতিপক্ষের ব্যাটারকে। শেষ ওভারে ১২ রান বাকি থাকতে নিজের বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাঠান। দলকে তুললেন ফাইনালে। ব্যাট হাতেও দুরন্ত পারফরমেন্স ছিল এই প্রাক্তন অলরাউন্ডারের
ব্যাট হাতেও নজর কাড়েন পাঠান-
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে কোনার্ক সূর্য (ওড়িশা) দল তোলে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান। আয়ারল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা ব্যাটার কেভিন ও ব্রায়ান ৩৯ বলে ৫০ রান করেন। ৩৫ বলে ৪৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ইরফান পাঠান। বল হাতে তো তিনি দলকে জিয়েছেনই, কিন্তু তার আগে ব্যাট হতেও জ্বলে উঠেছিলেন। দিলশান মুনাউইরা করেন ১৮ রান।
আরও পড়ুন-বুমরাহকে ভয়! বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ওপেনিং করবেন না! আগেই বোর্ডকে জানালেন স্মিথ!
১৫৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে রিকি ক্লার্কের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে একটা সময়ে মনে হয়েছিল ফাইনালে উঠবে হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু ৪৪ বলে ৬৭ রান করে শাহবাজ আহমেদের বলে বেন লঘিনের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন রিকি। এরপর শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রান। তখন প্রয়োজন ছিল একজন অভিজ্ঞ বোলারের বোলিং করতে আসা। তাঁর আগে পর্যন্ত ম্যাচে বোলিং করেননি ইরফান পাঠান। কিন্তু শেষ ওভারে অন্যের ওপর ভরসা না করে, গুরু দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধেই।
আরও পড়ুন-‘ইন্ডিয়া কো হারানা মুশকিল হি নেহি…’ বিধ্বংসী ভারতকে দেখে আতঙ্কিত কিউয়ি কোচ…
প্রথম তিন বলেই ৯ রান…
শুরুটা অবশ্য ইরফান পাঠানের ওভারে খুব একটা ভালো হয়নি। প্রথম তিন বলের মধ্যেই ৯ রান দিয়ে ফেলেন। সামিউল্লাহ শিনওয়ারি একটি ছয়ও মারেন পাঠানের বলে। শেষ তিন বলে বাকি ছিল তিন রান। সেখানেই আউট সাইড অফ লেন্থে বোলিং করেন পাঠান। আর তাতেই সুফল পান তিনি।
শেষ তিন বলে ১ রান…
চতুর্থ বলে আউট করেন শিনওয়ারিকে। পঞ্চম বলে স্টুয়ার্ট বিনি ১ রান নেন, তবে রান আউটও হতে পারতেন তিনি। শেষ বলে স্ট্রাইকে ছিলেন গুরকিরত সিং মান। এক্ষেত্রেও আউটসুইং বলে করেন পাঠান। বলে ব্যাটারের থেকে বাইরের দিকে যায় এবং মিস হিট করেন গুরকিরত। ১ রান নিতে পারলেও ম্যাচ সুপার ওভারে যেতে পারত, কিন্তু সেটা না হওয়ায় দলকে ফাইনালে তুলে স্বস্তির হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়লেন পাঠান। ফাইনালে বুধবার সন্ধ্যায় কোনার্ক সূর্যের প্রতিপক্ষ সাদার্ন সুপার স্টার্স।