লোকেশ রাহুলের সঙ্গে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দুর্ব্যবহার চলতি আইপিএলের অন্যতম বিতর্কিত ঘটনা সন্দেহ নেই। ভারতীয় ক্রিকেটমহলে বিস্তর চর্চা চলছে এই বিষয়ে। বিশেষজ্ঞদের কেউই এক্ষেত্রে লখনউ সুপার জায়ান্টাসের মালিককে সমর্থন করতে পারছেন না। প্রত্যেকেই পাশে রয়েছেন লোকেশের। তবে ঘটনাটি যে, বীরেন্দ্র সেহওয়াগকে নিতান্ত ক্ষুব্ধ করেছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে তাঁর কথাবার্তাতেই।
ক্রিকবাজের আলোচনায় বীরু কাটছাঁট ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন গোয়েঙ্কাকে। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকা এক্ষেত্রে লখনউ মালিককে পাক্কা ব্যবসায়ী, যিনি লাভ-লোকসান ছাড়া আর কিচ্ছু বোঝেন না, এমন ভাষায় তিরস্কার করতেও পিছ পা হননি।
সেহওয়াগ দাবি করেন যে, যখন আইপিএল থেকে ৪০০ কোটি টাকা লাভ করছেন টিম মালিক, তখন ক্রিকেটীয় বিষয়ে নাক গলানোর কী দরকার! দলের ফলাফল যেমনই হোক না কেন, ক্রিকেটারদের সর্বদা উদ্দীপ্ত করাই মালিকের একমাত্র কর্তব্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন বীরু।
সেহওয়াগ বলেন, ‘মালিকের ভূমিকা এমন হওয়া উচিত যে, তিনি ড্রেসিং রুম বা প্রেস মিটে যখনই ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করবেন, শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। গোল বাধে তখনই, যখন মালিক টিম ম্যানেজমেন্টের কাজকর্মে নাক গলান এবং প্রশ্ন তোলেন যে, এটা কী হচ্ছে, কেন এমন হচ্ছে, সমস্যা কোথায় প্রভৃতি। বিশেষ কোনও খেলোয়াড়কে নিয়ে মালিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করলেই মুশকিল।’
বীরু আরও বলেন, ‘দেখুন, কোচ-ক্যাপ্টেন দল চালায়। মালিকদের তার মধ্যে না ঢোকাই উচিত অথবা এই নিয়ে কারও উপর রাগ দেখানো উচিত নয়।’
গোয়েঙ্কাকে নিয়ে সেহওয়াগ পরে কাটছাঁট মন্তব্য করেন, ‘এরা (মালিকরা) সবাই ব্যবসায়ী। ওরা শুধু লাভ-লোকসান বোঝে। এক্ষেত্রে যখন তাদের কোনও লোকসান হচ্ছে না, তাহলে সমস্যাটা কোথায়? তুমি ৪০০ কোটি লাভ করছ। এখানে তোমার কোনও ভূমিকা নেই। তোমার খেলোয়াড়রা রয়েছে, যারা মাঠে নেমে লড়াই চালাবে। ফলাফল যাই হোক না কেন, তুমি তোমার লাভ পেয়ে যাচ্ছ। সুতরাং, তোমার একমাত্র কাজ খেলোয়াড়দের উদ্দীপ্ত করা।’
সেহওয়াগ শেষে বলেন, ‘খেলোয়াড়রা যদি ভাবতে শুরু করে যে, অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিরা রয়েছে। কোনও না কোনও দল পেয়ে যাবে। তখন কী হবে? যদি খেলোয়াড়রা দল ছাড়তে থাকে, তাহলে তোমার জেতার সম্ভাবনা শূন্য।’
আরও পড়ুন:- IPL 2024-এ সব থেকে বেশি শূন্য করেছেন কারা, তালিকায় রয়েছেন রথী-মহারথীরা
উল্লেখ্য, গত ৮ মে উপ্পলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে লখনউ সুপার জায়ান্টসের হতাশাজনক হারের পরেই লোকেশ রাহুলের সঙ্গে উত্তেজিত ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখা যায় সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে। যে ঘটনা ধরা পড়ে যায় ব্রডকাস্টারদের ক্যামেরায়।