বিয়ের ২০ বছর পরে ডিভোর্স হতে চলেছে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং আরতি আহলাওয়াতের? একটি মহলে তেমনই জল্পনা শুরু হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রামে তাঁরা একে অপরকে সম্ভবত আনফলো করে দিয়েছেন। সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কয়েক মাস ধরেই আলাদা থাকছেন সেহওয়াগ এবং আরতি। অবনতি হয়েছে তাঁদের সম্পর্কের। সেই পরিস্থিতিতে তারকা দম্পতির ডিভোর্সের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রাক্তন তারকা বা আরতি সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করেননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আরতির কথা বললেন সেহওয়াগ!
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রেম করে ২০০৪ সালে সেহওয়াগ এবং আরতির বিয়ে হলেও সম্প্রতি তাঁদের সম্পর্কে নাকি ফাটলের ইঙ্গিত পাচ্ছেন কেউ-কেউ। ওই মহলের বক্তব্য, দীপাবলিতে ছেলে ও মায়ের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করেছিলেন সেহওয়াগ। কিন্তু সেই পোস্টে আরতির কোনও উল্লেখ মেলেনি।
আরও পড়ুন: Yuvraj Singh: ডাউন দ্য গ্রাউন্ডও ছক্কা মারলে তুমি! শিষ্য অভিষেকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুবরাজ
আবার সপ্তাহদুয়েক আগে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে কেরলের পালাক্কড়ে যাওয়ার ছবি পোস্ট করেছিলেন সেহওয়াগ। তাতেও আরতির বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে অনেকের মনে সন্দেহ জেগেছে যে সেহওয়াগ এবং আরতির মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক নেই। আরতির জন্মদিনেও ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট তারকার ইনস্টাগ্রামে কোনও পোস্ট ছিল না। যিনি অতীতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় আরতিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবমিলিয়ে সেহওয়াগ এবং আরতির সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Marco Jansen: উচ্চতায় পৌঁছতে পারছেন না, তাই চেয়ারে দাঁড়িয়ে জানসেনের ইন্টারভিউ সঞ্চালকদের!
২০০৪ সালে বিয়ে হয় সেহওয়াগ ও আরতির
এমনিতে আরতি কোনওদিনই লাইমলাইটে থাকেননি। সেহওয়াগ তাঁর দূরসম্পর্কের আত্মীয় হতেন। পরবর্তীতে তাঁদের প্রেম হয়েছিল। একদিন তাঁকে প্রোপোজ করেছিলেন সেহওয়াগ। আর সেটার উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বলেছিলেন আরতি। তারপর ২০০৪ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন আরতি এবং সেহওয়াগ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল। একেবারে ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মানুষদের বিয়েতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সেহওয়াগরা। তবে পরে ধুমধাম করে রিসেপশন হয়েছিল।
আরও পড়ুন: IND vs ENG T20I: ‘Agents 007’- ইংল্যান্ড হারতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড RCB, হঠাৎ কী হল?
সেহওয়াগ ও আরতির ২ সন্তানও আছে
তারকা দম্পতির দুই সন্তানও আছে। ২০০৭ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান আর্যবীর জন্মগ্রহণ করেন। তিন বছর পরে সেহওয়াগ এবং আরতির পরিবারে দ্বিতীয় সন্তান আসে। ২০১০ সালে জন্মগ্রহণ করেন বেদান্ত। আর্যবীর তো এখন বয়স স্তরের ক্রিকেট খেলছেন। উঠে এসেছেন লাইমলাইটেও। মাসকয়েক আগে কোচবিহার ট্রফিতে ৩০৯ বলে ২৯৭ রান করেছিলেন। মেরেছিলেন ৫১টি চার এবং তিনটি ছক্কা।