মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে বুচি বাবু ট্রফির প্রথম ম্যাচে দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ইশান কিষান। তিনি প্রথম ইনিংসে ধ্বংসাত্মক শতরান করেন। ৫টি চার ও ১০টি ছক্কার সাহায্যে ১০৭ বলে ১১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইশান। তবে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বুচি বাবুর দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ডাহা ফেল ইশান। তিনি দুই ইনিংসেই নজর কাড়তে ব্যর্থ হন। ফলে তাঁর দল ঝাড়খণ্ডকে কার্যত গোহারান হারতে হয় হায়দরাবাদের কাছে।
শঙ্কর নগরে ইন্ডিয়া সিমেন্ট ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ঝাড়খণ্ড। তারা প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ঝাড়খন্ডের প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয় ৭০.৪ ওভার। শরনদীপ সিং দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৭৮ রান করেন। ১৫১ বলের ইনিংসে তিনি ১১টি চার মারেন।
ক্যাপ্টেন ইশান কিষান ১১ বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। হাদরাবাদের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৭ রানে ৫টি উইকেট নেন তনয় ত্যাগরাজন। ২টি করে উইকেট নেন রোহিত রায়াড়ু ও মিলিন্দ। অনিকেত রেড্ডি ১টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ২৯৩ রান। তাদের প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয় ৮৫ ওভার। রাহুল সিং ৫৬, মিলিন্দ ৫৮, রাহুল রাদেশ ৩৯, হিমা তেজা ৩০, রবি তেজা ৩৩ ও তনয় ত্যাগরাজন ২০ রান করেন। ঝাড়খণ্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন বিকাশ সিং ও মনিশি। ২টি উইকেট নেন বিকাশ বিশাল। আশিস কুমার ও রাহুল প্রসাদ ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১১৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে ঝাড়খণ্ড। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৪০ রানে। তাদের দ্বিতীয় ইনিংস স্থায়ী হয় ৪৯.২ ওভার। কুমার সুরজ ৬০ ও পঙ্কজ কুমার ৪০ রান করেন। ইশান কিষান দ্বিতীয় ইনিংসে ২২ বলে ৫ রান করেন। তিনি ১টি চার মারেন। হায়দরাবাদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিত রায়াড়ু ৩টি, তনয় ত্যাগরাজন ২টি এবং মিলিন্দ, রবি তেজা, অনিকেত রেড্ডি ও কার্তিকেয়া কাক ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন।
প্রথম ইনিংসের লিড বাদ দিয়ে জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে হায়দরাবাদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় মাত্র ২৬ রানের। তারা ৩.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৬ রান সংগ্রহ করে নেয়।