বুচিবাবু টুর্নামেন্টে আরও একবার নজর কাড়লেন ঝাড়খণ্ডের অধিনায়ক ইশান কিষান। এই প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই ঝাড়খন্ড দলের পক্ষ থেকে অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হয় ইশান কিষানের কাঁধে। আর দায়িত্ব নিয়েই তিনি একেবারে অধিনায়কের মতোই খেললেন এবং দলকে জেতালেনও। দীর্ঘদিন আইপিএলে খেলে আসছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিস্তর। ওডিআইতে রয়েছে দ্বিশতরানের নজির। ফলে বুচিবাবু প্রতিযোগিতায় তিনি ভালো খেলবেন সেটা আশা করাই হয়েছিল, প্রথম ইনিংসে মধ্য প্রদেশের বিরুদ্ধে করেছিলেন শতরান, আর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি নিজের সিগনেচার স্টাইলে ছয় মেরে জিতিয়ে দিলেন নিজের দল ঝাড়খণ্ডকে। প্রথম ম্যাচেই এই প্রতিযোগিতায় জয়ের স্বাদ পেয়ে গেল ইশান কিষানের ঝাড়খণ্ড দল।
আরও পড়ুন-CFL-এ ৪-০ গোলে জয় ইস্টবেঙ্গলের! গোলদাতা এডউইন,জেসিন ও আজাদ! ৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট লালহলুদের…
প্রথম ইনিংসে ইশান করেছিলেন ১০৭ বলে ১১৪ রান, চিনিয়েছিলেন নিজের জাত। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও নিজের ছয় মারার ক্ষমতা আরও একবার দেখিয়ে দিলেন ইশান। বুচিবাবু টুর্নামেন্টে ঝাড়খন্ডের সামনে জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্য রেখেছিল মধ্যপ্রদেশ দল। সেখানে মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় একসময় চাপে পড়়ে যায় ইশান কিষানের দল ঝাড়খন্ড। কিন্তু এরপরই দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে জেতান এই তারকা ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন-১৮ সেপ্টেম্বর ACL 2 অভিযান শুরু মোহনবাগানের! যুবভারতীতে প্রতিপক্ষ এফসি রাভশান…
দ্বিতীয় ইনিংসে অল্প রান চেজ করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল ঝাড়খন্ড, ৬৫ রানে পড়েছিল ১ উইকেট, কিন্তু এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তাঁদের ব্যাটিং লাইন আপ। পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দলের বাকি ব্যাটাররা। পরিস্থিতি বুঝে নিজে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক ইশান কিষান। শেষদিকে ঝাড়খন্ডের হাতে ছিল ২ উইকেট, আর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। তখনই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন ভারতীয় দলে খেলা এই তারকা ওপেনার। দুটি ছয় মেরে ম্যাচ গুটিয়ে দেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে রোহিত শর্মার ওপেনিং পার্টনার।
আকাশ রাজাওয়াতের ওভারের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ বলে ছয় মেরে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ইশান কিষান। গতবছর ডিসেম্বরে দঃ আফ্রিকা সিরিজের মাঝপথে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর থেকেই আর ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি ইশান। কোচ, নির্বাচক এবং বিসিসিআইয়ের কড়া নির্দেশে শেষ পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেটে নামতে বাধ্য হন তিনি। এরপর ব্যাট হাতে অবশ্য তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, পারফরমেন্সের দিক থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া যাবে না। অবশ্য রাহুল দ্রাবিড়, অজিত আগরকরদের কথা অগ্রাহ্য করা যে তাঁর ভুল ছিল, সেটা ঝাড়খন্ডের জার্সিতে মাঠে নেমেই কার্যত মেনে নিয়েছেন কিষান।