শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বে দলীপ ট্রফিতে মাঠে নামার আগে বুচি বাবু আমন্ত্রণী টুর্নামেন্টে ধ্বংসাত্মক শতরান ইশান কিশানের। লাল বলের ক্রিকেটে যে রকম তাণ্ডব চালালেন ইশান, তাতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে নির্বাচকদের চাপে রাখবেন ঝাড়খণ্ডের তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটার।
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে বুচি বাবু টুর্নামেন্টের প্রথম ইনিংসে ইশান একসময় ৮৪ বলে ব্যক্তিগত ৯২ রানে ব্যাট করছিলেন। ঠিক তার পরেই অধীর প্রতাপ সিংয়ের পরপর ২টি বলে ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকে যান তিনি। ইশান ৫টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করেন।
ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বুচি বাবুর ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মধ্যপ্রদেশ। তারা প্রথম দিনে ৯০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২২৫ রান সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে মধ্যপ্রদেশ নিজেদের ইনিংসে নতুন করে কোনও রান যোগ করতে পারেনি। তারা ২২৫ রানেই প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায়।
আরহাম আকিল ১৪৪ বলে ৫৭ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন। তিনি ৪টি চার মারেন। ১৭১ বলে ৮৪ রান করেন শুভম। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। অনিকেত বর্মা ২৪ ও অধীর প্রতাপ সিং ২৭ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন।
ঝাড়খণ্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন শুভম সিং ও সৌরভ শেখর। ২টি করে উইকেট দখল করেন বিবেকানন্দ তিওয়ারি ও আদিত্য সিং। উইকেট পাননি রবি যাদব।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝাড়খণ্ড অনায়াসে মধ্যপ্রদেশের প্রথম ইনিংসকে টপকে যায়। তারা ৭৭ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৯ রান সংগ্রহ করে। যদিও ইশানের মারকাটারি শতরান ছাড়া ব্যাট হাতে তেমন দৃঢ়তা দেখাতে পারেননি আর কেউ।
ইশান কিশান শেষমেশ ১০৭ বলে ১১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ধুমধাড়াক্কা ইনিংসে তিনি ৫টি চার ও ১০টি ছক্কা মারেন। ৯৫ বলে ৩৫ রান করেন বিকাশ বিশাল। তিনি ৩টি চার মারেন। ৬৮ বলে ৩৩ রান করেন শরনদীপ সিং। তিনি ৪টি চার মারেন।
৬৮ বলে ২৪ রান করেন কুমার সুরজ। তিনি ২টি চার মারেন। ১০৭ বলে ৩৩ রান করেন আদিত্য সিং। তিনিও ২টি বাউন্ডারি মারেন। ৬ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিবেকানন্দ তিওয়ারি।