শিখর ধাওয়ানের হঠাৎ অবসর ঘোষণার ধাক্কা এখনও ঠিকভাবে সামলে উঠতে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেটমহল। ধাওয়ান জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও তাঁর আইপিএল খেলা নিয়ে কার্যত কোনও সংশয়ই ছিল না। এরই মধ্যে টিম ইন্ডিয়ার আরও এক সুপারস্টারের গলায় ধরা পড়ল ভিন্ন সুর। হঠাৎ করেই আশঙ্কার কালো মেঘ দেখা দিতে শুরু করে লোকেশ রাহুলকে ঘিরে।
একসময় রোহিত পরবর্তী ভারতীয় দলের নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো লোকেশ রাহুলকে। তবে সেই অর্থে কখনই টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশে নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি তিনি। দলের প্রয়োজনে ব্যাটিং অর্ডারে বারবার ওঠা-নামা করতে দেখা যায় তাঁকে। এমনকি উইকেটকিপিং করেও জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখতে দেখা গিয়েছে রাহুলকে।
আইপিএলে লোকেশ রাহুলের পারফর্ম্যান্স নিতান্ত মন্দ নয়। তবে লখনউ সুপার জায়ান্টসের ক্যাপ্টেন হিসেবে চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স মেলে ধরতে পারেননি তিনি। ফলে তাঁর আইপিএল কেরিয়ারও দোলাচলতায় ভুগতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকেশ রাহুলের উপলব্ধি এই যে, সম্ভবত তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের বড্ড তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে যেতে পারে। তাঁর স্পষ্ট দাবি, এখন থেকেই সুরঙ্গের শেষ দেখতে পাচ্ছেন তিনি।
নিখিল কামাথের ইউটিউব চ্যানেলের আলোচনায় লোকেশ রাহুল বলেন, ‘নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার প্রসঙ্গ আসছে না। তবে কেমন একটা মনে হচ্ছে যে, সবকিছু বোধহয় শেষ হয়ে আসছে। সম্ভবত আমার কেরিয়ার একটু তাড়াতাড়িই বোধহয় শেষ হতে পারে।’
লোকেশ পরক্ষণেই বলেন, ‘আপনি যদি যথেষ্ট ফিট থাকেন, তাহলে ৪০ বছর পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে পারেন। অবশ্যই ধোনির মতো কেউ কেউ থাকেন, যিনি ৪৩ বছরেও খেলা চালিয়ে যেতে পারেন। আপনি আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে খেলা চালিয়ে যেতে পারেন, তবে দীর্ঘ সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন। কখনও কখনও মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, একজন অ্যাথলিটের কেরিয়ার খুব ছোট হয়। আপনার হাতে যতটুকু সময় আছে, সেটাকে যথাযথ ব্যবহার করা দরকার।’
রাহুল শেষে যোগ করেন, ‘আমাকে এই উদ্বেগ ঘিরে ধরে ৩০ পেরোনোর পরেই। আমি দেখতে পাচ্ছি রাস্তা শেষ হয়ে আসছে। ২৯ বছর পর্যন্ত আমার এমনটা কখনই মনে হয়নি। ৩০ বছরে পা দেওয়ার পরেই আমার মনে হয় যে, আর ১০ বছর ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে পারব। তখনই মনে এই আশঙ্কার উদয় হয় যে, কোনও একটা সময়ে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে। আমি সারা জীবনে যা করেছি, তা শুধু ক্রিকেট, ক্রিকেট আর ক্রিকেট। এটা কখনই ভাবিনি যে, একদিন খেলা ছাড়তে হবে। তবে এখন সেটা দেখতে পাচ্ছি। সম্ভবত সেই দিন খুব দূরে নেই।’