বাগে পেয়েও কেরলকে নিতান্ত সস্তায় বেঁধে রাখতে পারল না বাংলা। অভিজ্ঞ জলজ সাক্সেনা ও সলমন নিজারের জুটিই রঞ্জি ম্যাচে বাংলার লড়াই কঠিন করে তুলল সন্দেহ নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করাই হবে অনুষ্টুপ মজুমদারদের একমাত্র লক্ষ্য।
বৃষ্টির জন্য সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বাংলা বনাম কেরল রঞ্জি ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা ভেস্তে যায়। দ্বিতীয় দিনে খেলা হয় মোটে ১৫.১ ওভার। তাতেই ৫১ রান তুলতে ৪টি উইকেট হারিয়ে বসে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামা কেরল।
সুতরাং, ম্যাচের তৃতীয় দিনে কেরলের প্রথম ইনিংস তড়িঘড়ি গুটিয়ে দিতে পারলে পালটা ব্যাট করে বড় ইনিংস গড়ার পর্যাপ্ত সময় পেত বাংলা। তৃতীয় দিনে প্রাথমিক সাফল্যও মেলে বাংলার। সকালে পরপর ২টি উইকেট তুলে নেয় তারা। ফলে কেরল একসময় ৮৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতি থেকে কেরল প্রথম ইনিংসে দেড়শো টপকাতে পারবে কিনা, সেই বিষয়ে দেখা দেয় ঘোর সংশয়। তবে সপ্তম উইকেটে জলজ-সলমনের জুটি বাংলার আগ্রাসনে জল ঢেলে দেয়। লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন দুই তারকাই। শেষমেশ কেরল তাদের প্রথম ইনিংসে আড়াইশো রানের গণ্ডি টপকে যায়। যদিও এখনও তাদের লড়াই শেষ হয়নি।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে জলজ সাক্সেনা ৮৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। ১৫২ বলের চোয়ালচাপা ইনিংসে তিনি ১২টি চার মারেন। জলজ নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন বলা যায়। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সলমন ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০৫ বলের ইনিংসে তিনি ৬টি চার মারেন।
৪৮ বলে ৩০ রান করে নট-আউট থাকেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তিনি ৫টি চার মেরেছেন। তৃতীয় দিনের শেষে কেরল তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৭ উইকেটে ২৬৭ রান। তারা সাকুল্যে ১০২ ওভার ব্যাট করেছে।
এছাড়া কেরলের হয়ে প্রথম ইনিংসে অক্ষয় চন্দ্রন ৭২ বলে ৩১ রান করেন। তিনি ৬টি চার মারেন। ৬৫ বলে ১২ রান করেন ক্যাপ্টেন সচিন বাবি। তিনি ১টি চার মারেন। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ বলে ২৩ রান করেন রোহন কুন্নুমাল। খাতা খুলতে পারেননি তামিলনাড়ু ছেড়ে কেরলে যোগ দেওয়া বাবা অপরাজিত।
বাংলার হয়ে প্রথম ইনিংসে ২৪ ওভার বল করে ৮৩ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নিয়েছেন ইশান পোড়েল। প্রদীপ্ত প্রামানিক ২৯ ওভার বল করে ৫৭ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন। ১৬ ওভারে ৩৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট নিয়েছেন সুরজ জসওয়াল।