শুভব্রত মুখার্জি:- ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। সেখানে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে তারা। ইতিমধ্যেই প্রথম টেস্ট হয়ে গিয়েছে। মাত্র আড়াই দিনের মধ্যে সেই টেস্টে জিতে সিরিজে ১-০ ফলে এগিয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড দল। আর আগের করা ঘোষণা মতোই এই টেস্ট খেলে তাঁর বর্ণময় টেস্ট কেরিয়ারের ইতি টেনেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবথেকে বেশি উইকেট নেওয়া এই পেসার ১৮৮ টি টেস্ট খেলে আলবিদা জানিয়েছেন ক্রিকেটকে।
কী কারণে এই টেস্টের পরেই জেমস অ্যান্ডারসন অবসর নিয়েছেন, তা আগেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন দলের অধিনায়ক বেন স্টোকস। তাঁর মতে, প্রায় দেড় বছর বাদে অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছে অ্যাশেজ সিরিজ। সেই সিরিজে জয় মূল লক্ষ্য তাঁদের। আর তাই দলকে গড়ে নিতে। পেস বোলিং বিভাগকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে সময় দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
এবার প্রথম টেস্ট শেষে জেমস অ্যান্ডারসন অবসর নেওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ডেভিড লয়েড। তিনি বিষয়টি নিয়ে সরাসরি ইসিবিকে একহাত নিয়েছেন। তাঁর মতে, জেমস অ্যান্ডারসনের বয়স হয়ে গিয়েছে বলেই তাঁকে অবসর নিতে বাধ্য করেছে বোর্ড। তাঁর মতে, অ্যান্ডারসন এখনও বেশ কিছুদিন খেলা চালিয়ে যাওয়ার অবস্থায় ছিল।
ডেইলি মেলের হয়ে এক কলামে তিনি লিখেছেন, 'তাহলে আমরা জেমস অ্যান্ডারসনকে ফেয়ারওয়েল দিয়েই দিলাম। জিমির বিদায়বেলায় সবথেকে দুঃখের যে জিনিসটা তা হল ওঁকে শেষপর্যন্ত বিদায় নিতেই হল এমন একটা সময়ে যখন ও খুব ভালো বোলিং করছে। ওঁর পেস, নিখুঁত লাইন এবং লেংথে বোলিং এবং স্ট্যামিনা কোন বিষয়েই যে ওঁর কোনও খামতি এখনও নেই, সেটা ও বারবার দেখিয়ে দিয়েছে। তারপরেও ওঁকে অবসর নিতে হচ্ছে- এটা দুঃখজনক। এখনও জিমি উইকেট নিচ্ছে। নিয়মিত উইকেট নিচ্ছে। দলের হয়ে নিয়মিত অবদান রাখছে। ওদের বক্তব্য হল, সামনের বছরের অ্যাশেজের কথা মাথায় রেখে ওঁরা জেমস অ্যান্ডারসনকে অবসর নিতে বাধ্য করল। আমি বলব, নিজের সেরাটা দলটা বাছুক ইংল্যান্ড। আর এই মুহূর্তে সেটা করতে গেলে সেই দলে অবশ্যই আসবে জিমি।'
তিনি আরও লেখেন, 'আজকের যুগে দাঁড়িয়ে আমার ভাবতে খুব অবাক লাগছে যে একজনকে অবসর নিতে হবে বলেই অবসর নিতে বাধ্য করা হল।' টেস্ট ক্রিকেটে কম শক্তিশালী দলদের খেলা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, 'আমার মূল সমস্যাটা রয়েছে আইসিসিকে নিয়ে। এগিয়ে আস। খেলাটা থেকে যে সম্পদটা পাচ্ছ সেটা সবার মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দাও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবসময়ে লড়াইটা দুই সমকক্ষ দলের মধ্যে হওয়া উচিত। এখানকার সমস্যাটা হল যে এই ভারসাম্যটা নষ্ট হয়েছে। কেউ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। কেউ সেই তুলনায় এগোতেই পারেনি। আমি এই নিয়ে অন্য তিন শক্তিশালী ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের ও মতামত জানতে চাইব। তারা এইরকম বিষয় নিয়ে কী ভাবছে। তারা এই জায়গায় থাকলে কী করত এটা জানা প্রয়োজনীয়।'