এবছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের হয়ে বহু যুদ্ধের নায়ক ছিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর পরিসংখ্যান চোখে পড়ার মতো। তবে প্রথম দিন থেকে শোনা যাচ্ছিল, তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল বয়সের অজুহাত দেখিয়ে অবসর নেওয়ার জন্য। মূলত অভিযোগ ছিল- কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম, অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং ECB-র কিছু শীর্ষ কর্তার দিকে। সম্প্রতি তাঁর বই ফাইন্ডিং দ্য এজ-এ, জেমস অ্যান্ডারসন ম্যানচেস্টারের একটি হোটেলে ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস, হেড কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম এবং ECB-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কী-এর সঙ্গে তাঁর সম্ভাব্য অবসর সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন বর্ণনা করেছেন।অ্যান্ডারসন উল্লেখ করেছেন যখন তিনি তাঁদের সামনে উপস্থিত হন, তখনই আলোচনার গভীরতা অনুভব করেন।
জেমস অ্যান্ডারসন লিখেছেন, ‘আমি যখন তাদের দিকে হেঁটে গেলাম, তখন আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছিল। এটি একটি দলের মূল্যায়ন বৈঠক ছিল না, তাই না? বারের দূরের দিকে প্রতিটি পদক্ষেপের সঙ্গে তাদের চরিত্র ফুটে উঠছিল, ট্রাম যাত্রাটি হঠাৎ করেই একটি আনন্দময় অতীত জীবনের মতো শেষ হয়ে গেছে, বাইরের সূর্য একটি দিগন্তবিহীন নিওন-লাল অন্ধকারে তলিয়ে গেছে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার মাথায় বিভিন্ন সমীকরণ ঘুরছিল এবং আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছিল। আমি তাদের সঙ্গে করমর্দন করি। আমি নিজেকে গুডফেলাসে জো পেসির মতো অনুভব করছিলাম। তারা আমাকে এমন কিছু বলতে চলেছে যা আমি বলতে চাই না, তাই না? এই বিষয়টা আমায় অনেক দিন তাড়া করে বেরিয়েছিল। আমায় পুরো বিষয়টা বুঝতে অনেকটা সময় লেগে গেছিল। ম্যাককালামের মুখ থেকে কথাগুলো খুব তীক্ষ্ণ শোনাচ্ছিল। সে আমায় বলে, আমরা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করছি। এটা শোনার পর আমার চারিদিক যেন ঝাপসা হয়ে উঠেছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন ম্যাককালাম তাঁকে বলেছিলেন, ‘আমাদের মনে হয় না তুমি ১৮ মাস পরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে পারবে। তাই আমাদের সেই সিরিজের জন্য উপযুক্ত কে হবে তাকে খুঁজে বের করতে হবে এবং এখন সেই সময়টা এসেছে সেই কাজ করার জন্য।’ অ্যান্ডারসন লিখেছেন, ‘এটা কোনও বৈঠক বা আলোচনা ছিল না। এটা আমার কাছে অবসর গ্রহণের স্পষ্ট বার্তা ছিল।’ উল্লেখ্য, জিমি ইংল্যান্ডের হয়ে ১৮৮টি টেস্ট খেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন ৭০৪টি, গড় ২৬.৪৫। তাঁর সেরা বোলিং ফিগার ৭/৪২।