অস্ট্রেলিয়ার ভারতের একমাত্র আশা ভরসা হয়ে উঠেছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিলেন তিনি। এবার তার জন্য বড় পুরস্কার পেলেন বুমরাহ। ICC-র বিচারে ডিসেম্বরের প্লেয়ার অফ দ্য মন্থ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ১০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে পরাজিত হয়েছে ভারত। ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল দিতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত হয় রোহিতরা। কিন্তু সব টেস্টে বল হাতে নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে গেছেন বুমরাহ। শুধু তাই নয়, সিরিজে যেই একমাত্র টেস্টটি ভারত জিতেছে সেটি তাঁর অধিনায়কত্বেই। স্বভাবতই এরকম অনবদ্য পারফরম্যান্স যে প্লেয়ার অফ দ্য মন্থ হওয়ার দাবি রাখে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
নভেম্বরে মাত্র ১টি টেস্ট খেলেই ICC প্লেয়ার অফ দ্য মন্থ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। ফের একবার বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পারফরম্যান্স দিয়ে ডিসেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটার হওয়ার দাবি জানান জসপ্রীত। অর্থাৎ পরপর ২ বার ICC-র ঐতিহ্যশালী পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন এই তারকা ভারতীয় পেসার। তবে নভেম্বর মাসে শিকে ছেড়েনি তাঁর। সেই মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন পাকিস্তানের হ্যারিস রউফ। তবে এবার সবাইকে পিছনে ফেলে এই শিরোপা জিতে নিলেন বুমরাহ। জসপ্রীত ডিসেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩টি টেস্টে মাঠে নামেন। অ্যাডিলেড, ব্রিসবেন ও মেলবোর্নের সেই তিনটি টেস্টে ১৪.২২ গড়ে সাকুল্যে ২২টি উইকেট নেন তিনি।
বুমরাহের সঙ্গে ডিসেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে ছিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডেন প্যাটারসন। কামিন্সের সঙ্গে বুমরাহের লড়াইটা ছিল সেয়ানে সেয়ানে। ডিসেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে ৩টি টেস্টে মাঠে নেমে কামিন্স ১৭.৬৪ গড়ে মোট ১৭টি উইকেট নেন। সেই সঙ্গে মেলবোর্ন টেস্টের দুই ইনিংসে ব্যাট হাতে যথাক্রমে ৪৯ ও ৪১ রান করেন কামিন্স। অন্যদিকে পিছিয়ে ছিলেন না প্যাটারসন ও। ডিসেম্বরে ২টি টেস্টে মাঠে নেমে প্যাটারসন ১৬.৯২ গড়ে মোট ১৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এক ইনিংসে ৭১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন ডেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও এক ইনিংসে ৬১ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত গেম চেঞ্জিং পারফরম্যান্সের কারণে সবাইকে পিছনে ফেলে প্লেয়ার অফ দ্য মন্থের শিরোপা জিতে নিলেন জসপ্রীত বুমরাহ।