ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভারতের সহ অধিনায়ক ছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে দলের সহ অধিনায়ক থাকছেন না তিনি। যদিও তিনি দলে রয়েছেন, তবে রোহিত শর্মার ডেপুটি হওয়ার পরিবর্তে বুমরাহ নিয়মিত সদস্য হিসাবেই খেলবেন। কেএল রাহুল, ঋষভ পন্ত এবং বিরাট কোহলির মতো বুমরাহ-ও দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসাবে বিবেচিত হন। যদিও কোহলি এখন কোনও অফিসিয়াল নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকবেন না। রাহুল এবং পন্তকে সম্ভাব্য ভবিষ্যতের টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে দেখা হচ্ছে। মজার ব্যাপার হল, বাংলাদেশ সিরিজের জন্য দলে কোনও সহ-অধিনায়ক রাখা হয়নি। অনেকে মনে করছেন বুমরাহ-কে বিসিসিআই এবং টিম ম্যানেজমেন্ট ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসাবে কল্পনা করে না তাই তাঁকে সহ অধিনায়ক হিসাবে রাখা হয়নি এবার দলে।
বুমরাহ এর আগে ভারতের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০২২ টেস্টে এবং আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০২৩-এ একটি ম্যাচে, যেখানে তাঁর নেতৃত্ব প্রদান যথেষ্ট প্রশংসা লাভ করেছিল। অধিনায়ক হতে হলে সেই খেলোয়াড়কে সব সময় পাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বুমরাহ-এর একটি ইনজুরির ইতিহাস রয়েছে। সেই কারণে বিসিসিআই বা টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে অধিনায়ক হিসেবে কল্পনা করতে পারছে না। বর্তমানে গৌতম গম্ভীর জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকায় সহ-অধিনায়কের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। অধিনায়কের পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সহ অধিনায়ককেও।
সম্প্রতি ভারতীয় দলে একাধিক পরিবর্তন এসেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হার্দিক পান্ডিয়াকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সূর্যকুমার যাদব-কে অধিনায়ক করা হয়েছিল এবং শুভমন গিল-কে ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি উভয় ক্ষেত্রেই সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটেও তাঁর সম্ভাব্য ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ঋষভ পন্তের নামও রয়েছে জল্পনায়। শুভমন গিল এবং ঋষভ পন্ত উভয়ের আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা আছে। প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে, তারপরে কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে।