রিহ্যাব প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছেন জসপ্রীত বুমরাহ। চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরাই এখন লক্ষ্য তাঁর। কয়েদিন আগে বেঙ্গালুরুতে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন এই তারকা ভারতীয় পেসার। সেখানে তাঁর চোটের জায়গার স্ক্যান করা হয়। বোঝার চেষ্টা করা হয় এই মুহূর্তে কেমন রয়েছে বুমরাহের আঘাত। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের মেডিক্যাল টিম তাঁর চোটের উপর ক্রমাগত নজর রেখে চলেছে। সামনে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে বুমরাহের সুস্থ হয়ে ওঠাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বুমরাহ আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাময়িক শারীরিক পরিশ্রম করা শুরু করবেন, যেমন- জিম। এমনকী হালকা হালকা বোলিং করাও শুরু করবেন।
সিডনিতে বর্ডার গাভাসকর ট্রফির শেষ টেস্টে পিঠে খিঁচুনি ধরেছিল জসপ্রীত বুমরাহের। যেই কারণে মাঝপথে খেলা ফেলে হাসপাতালে দৌড়তে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতেও দেখা যায়নি বুমরাহকে। সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল চিকিৎসকদের তরফে। ঠিক করা হয়েছিল জসপ্রীতের ভবিষ্যত নির্ধারণ করা হবে তাঁর পিঠের ফোলাভাব কমে যাওয়ার পর। এই মুহূর্তে তাঁকে নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে বোর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নাম রয়েছে এই পেসারের। তবে খেলবেন কী খেলবেন না সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে রদবদল করতে পারবে বিসিসিআই।
রিপোর্টে সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘যদি ১ শতাংশ সুযোগ থাকে, তবেও বুমরাহের জন্য অপেক্ষা করা হবে। এর আগে হার্দিক পান্ডিয়ার ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল। প্রসিধ কৃষ্ণাকে তাঁর জায়গায় সুযোগ দেওয়ার আগে ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করা হয়েছিল। এমনকী যখন শুভমন গিল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়, তখন তাঁর জায়গায় কাউকে নেওয়া হয়নি। বুমরাহের ক্ষেত্রেও অন্যথা হবে না। ডেডলাইন নিয়ে ভাবা হচ্ছে না। যদি তিনি একান্তই না খেলতে পারেন তখন বদলি নিয়ে ভাবা হবে।’ উল্লেখ্য, ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ চলাকালীন চোট পেয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেই সময় তাঁর জন্য অনেকটা সময় অপেক্ষা করা হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে বদলি ঘোষণা করা হয়। এখন দেখার বুমরাহ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারেন কিনা। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ভারতে রপ্রথম ম্যাচ রয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারি। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।