ভারতীয় দলের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হারের পর থেকেই পাকিস্তানের নির্বাচকদের দিকে আঙুল উঠছে। কারণ পাক শিবির নূন্যতম লড়াইটুকুও দিতে পারেনি টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে। আর ২৪ ঘন্টা পরই বাংলাদেশ হেরে গেছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে, ফলে পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। এর আগে ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপে আফগানিস্তান, ২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও হেরেছিল পাক শিবির। এরই মধ্যে এবার নির্বাচকদের একা দোষ না দিয়ে ক্রিকেটারদের দিকেও আঙুল তুললেন প্রাক্তন ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাঁদ।
ক্রিকেটারদের সমালোনায় পাক তারকা
ভারতীয় দলের এক সময়ের ত্রাস জাভেন বলছেন, ‘শুধুমাত্র সিস্টেমকে দোষ দিয়ে বা নির্বাচকদের দোষ দিয়ে হবে না। এখানে প্রশ্নটা হচ্ছে, ক্রিকেটারদের কি কোনও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে? পিসিবি কি তাঁদের ঠিকভাবে খেয়াল রাখছে না? তাঁদেরকে কি টাকা দিচ্ছে না ঠিক ঠাক? যদি সব পেয়ে থাকে তাহলে খেলায় সেই ঝাঁজ, আবেগ কোথায়? ক্রিকেটারদের মধ্যে বড় ম্যাচে পারফর্ম করার সেই পেশাদারিত্ব নেই কেন? ’।
ম্যাচের আগেই ক্রিকেটাররা চাপে ছিল
পাকিস্তান দল যেখানে ৪৯.৪ ওভারে ২৪১ রান করেছিল, সেখানে বিরাট কোহলির শতরানে ভর দিয়ে টিম ইন্ডিয়া ৪২.৩ ওভারের মধ্যেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। যা দেখে জাভেদ মিয়াঁদাদ বলছেন, ‘সত্যই কথা বলতে কি, আমাদের ক্রিকেটাররা খেলা শুরুর আগেই চাপে ছিল। খেলোয়াড়দের ভালো করে দেখলে বুঝতে পারবে, ওদের মধ্যে ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে দাপট দেখানোর মতো ইচ্ছার অভাব ছিল ’।
আরও পড়ুন-২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করতে ইচ্ছুক ভারত! পাঠানো হচ্ছে প্রস্তাব! হবে ক্রিকেটও? দেখে নিন
পাকিস্তান থেকে ইমানকে নিয়ে যাওয়া হয় ফখর জামানের পরিবর্ত ক্রিকেটার হিসেবে। কিন্তু সেই তিনি কিনা ২৬ বলে করেন ১০ রান। এরপরই সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে এক পোস্ট, যেখানে দাবি করা হচ্ছে ইমাম উল হকের পিছনে নাকি প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করে তাঁকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পাঠিয়েছিল পাকিস্তান বোর্ড। আর সেখানেই তিনি মাত্র এই কটা রান করে ফিরেছেন।
সইম আয়ুব-ফখর জামানের চোট
পাকিস্তান দলের সব থেকে বড় ধাক্কা ছিল টপ অর্ডার ব্যাটার সইম আয়ুবের না থাকা। কারণ পাকিস্তানের দুই ভালো সিমিত ওভারের ব্যাটার হচ্ছে আয়ুব এবং জামান। আর তাঁরা দুজনেই চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ায় পাকিস্তান তাঁদের সঠিক পরিবর্ত ক্রিকেটার খুঁজে পায় নি। (ফখর ১ ম্যাচে খেলেন) আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে দলের ছিটকে যাওয়ার পর পাকিস্তানের জনগনেরও মনে হচ্ছে ওই দুই ক্রিকেটার টুর্নামেন্টে খেললে ফল অন্যরকম হতে পারত।
প্রতিভা দেখতে পাচ্ছেন না গাভাসকর
যা নিয়ে ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরকেও বলতে শোনা গেছিল, ‘আমার কাছে যেটা খুবই অবাক করার মতো বিষয়, তা হল পাকিস্তানের বেঞ্চের শক্তি। একটা সময় পাকিস্তানের প্রচুর প্রাকৃতিক প্রতিভা ছিল। অর্থাৎ তাঁরা হয়ত সব ক্ষেত্রে টেকনিক্যালি সঠিক না হলেও, ব্যাটে বলে ঠিক আসল সময় কাজটা বের করে দিত। ইনজামাম উল হককে দেখ, ওর ব্যাটিং স্ট্যান্স হয়ত পছন্দ হবে না। কিন্তু খেলার টেম্পারমেন্টে ও অনেককে পিছনে ফেলে দেবে আর অনেক টেকনিক্যাল ত্রুটিও ছাপিয়ে যেতে পেরেছে’।