তবে কি বিসিসিআই ছেড়ে আইসিসিতে পসার জমাতে চলেছেন জয় শাহ? সেই সম্ভাবনা জোরালো হল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার ঘোষণায়। মঙ্গলবার আইসিসির তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে, বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে নভেম্বরেই তাঁর পদ ছাড়বেন। তিনি তৃতীয় মেয়াদ পূর্ণ করার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। সুতরাং, নভেম্বরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে বেছে নিতে হবে নতুন চেয়ারম্যান।
২০২০ সালের নভেম্বরে বার্কলে আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ২০২২ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের জন্য আইসিসি প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নিয়ম মতো তাঁর সামনে সুযোগ ছিল তৃতীয়বার আইসিসি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। তবে সেই পথে হাঁটছেন না গ্রেগ।
আগামী ২৭ অগস্টের মধ্যে নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার জন্য মনোনয়োন পেশ করতে হবে। যদি একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন, সেক্ষেত্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থির হবে কার হাতে দায়িত্ব উঠবে। নতুন আইসিসি চেয়ারম্যানের মেয়াদ শুরু হবে ১ ডিসেম্বর থেকে।
আইসিসি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার জন্য এখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেই চলে। অর্থাৎ, ১৬টি ভোটের মধ্যে ৯টি ভোট পেলেই চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়া যায়। আগে আইসিসি প্রধান নির্বাচিত হওয়ার জন্য দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন লাগত।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নতুন আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে জয় শাহর অভ্যুত্থান কার্যত নিশ্চিত দেখাচ্ছে। বিসিসিআইয়ে শাহর মেদায় এখনও এক বছর বাকি রয়েছে। সেই মেয়াদ শেষ করে শাহর কুলিং অফে যেতে ২০২৫-এর অক্টোবর গড়িয়ে যাবে। সুতরাং, বিসিসিআইয়ের মেয়াদ শেষ করে আইসিসির দায়িত্ব নিতে হলে জয় শাহকে ২০২৬-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেননা ২০২৪-এর ডিসেম্বর থেকে বার্কলে তৃতীয় দফায় আইসিসির দায়িত্ব নিলে তিনি ২ বছরের কোটা পূর্ণ করতেন।
এক্ষেত্রে জয় শাহ প্রায় এক বছর বাকি থাকতেই বিসিসিআইয়ের চেয়ার ছাড়তে পারেন এবং দায়িত্ব নিতে পারেন আইসিসির। বিসিসিআই সচিবের পাশাপাশি জয় শাহ এই মুহূর্তে আইসিসির ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির শীর্ষে রয়েছেন। আইসিসিতে তাঁর প্রভাব বিস্তর। তিনি চেয়ারম্যান হতে চাইলে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন বলে মনে হয় না। যদি নিতান্তই ভোটাভুটি হয়, তবে ৯টি ভোট নিজের দিকে টানা জয় শাহর কাছে নিতান্ত সহজ বিষয়।
অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটমহলে আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল যে, জয় শাহ যদি আইসিসি চেয়ারম্যান হতে চান, তবে নভেম্বরেই দায়িত্ব ছাড়বেন বার্কলে। নতুবা তিনিই চালিয়ে যাবেন দায়িত্বভার। শেষমেশ গ্রেগ দায়িত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করতেই স্পষ্ট হয়ে যায় দেওয়াল লিখন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ পেরোলেই সিলমোহর পড়তে পারে জল্পনায়।