ক্যাপ্টেন হিসেবে খেলোয়াড়দের পূর্ণ স্বাধীনতা দেন। পরিস্থিতি অনুকূল না হলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। তার পরেও একই ভুলের পুনাবৃত্তি করতে থাকলে প্রতিক্রিয়া দেখাতেও পিছপা হন না রোহিত শর্মা। ক্যাপ্টেন হিসেবে রোহিত আগ্রাসী সন্দেহ নেই। আবেগে নিয়ন্ত্রণ রাখাও মুশকিল হয়ে দাঁড়ায় মাঝে মধ্যেই। তবে এত সবের মাঝেও নেতা হিসেবে হিটম্যান দলের সবার কাছে সমান গ্রহণযোগ্য।
জন্টি রোডসের চোখে তার কারণটাও ধরা পড়ে যায়। প্রাক্তন প্রোটিয়া ক্রিকেটার, যিনি নিজের ফিল্ডিংয়ের জন্য ক্রিকেটবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেন, এক্ষেত্রে রোহিতের মধ্যে বড় দাদা সুলভ শাসন করার প্রবণতাকেই কৃতিত্ব দেন। তবে জন্টিকে অবাক করে অন্য একটি বিষয়। মাঠের মধ্যে পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, রোহিত মাঝে মধ্যেই এমন সব কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন, যা তাঁর দুষ্টুমির দিকটাকে সামনে নিয়ে আসে। ঠিক এই কারণেই জন্টির চোখে রোহিত একজন নটি ক্যাপ্টেনও বটে।
খেলার মাঝে দল পরিচালনার সময়েই হোক বা সাংবাদিক সম্মেলনে গুরুগম্ভীর প্রশ্নের মুখে, রোহিত মস্করা করার সুযোগ কখনই হাতছাড়া করেন না। তবে তিনি স্টাম্প মাইকের উপস্থিতি উপেক্ষা করেই মাঝে মধ্যে এমন সব মন্তব্য করেন, যা জন্টির কাছে নিতান্ত ব্যতিক্রমী মনে হয়েছে। প্রোটিয়া তারকা ভেবে অবাক হন যে, সবাই শুনছে জেনেও রোহিত নির্বিকারভাবে এমন সব মন্তব্য করতে কুণ্ঠাবোধ করেন না।
ভারতীয় দলের জুনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে রোহিতের ‘গার্ডেন মে ঘুমনে ওয়ালে বান্দে’ মন্তব্য রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের ২টি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পরে যখন তৃতীয় ম্যাচে রোহিত চার মারা সত্ত্বেও আম্পায়ার সেটিকে লেগ-বাই দেন, রোহিত সেই বিষয়েও আম্পায়ারের সঙ্গে মস্করা করতে ছাড়েননি।
রোহিতের এই সব কথাবার্তা স্টাম্প মাইকের সৌজন্যে সবার কাছে পৌঁছে যায়। হিন্দিতে বলা কথা জন্টি প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারেন না। তবে পরে যখন সেই সব কথা বার্তার তর্জমা তাঁর সামনে আসে, তিনি না হেসে পারেন না।
Rev Sports-এর সাক্ষাৎকারে জন্টি রোহিতের এমন দুষ্টুমি প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেভাবে ও সতীর্থদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে, বোঝা যায় ওর মজাদার চরিত্রের দিকটা। কখনও কখনও দুষ্টুমি বুদ্ধি খেলে যায় ওর মাথায়। মাঝে মাঝে স্টাম্প মাইকে এমন সব কথা বলে, আপনার মনে হবে যে, রোহিত কি জানে সবাই শুনছে ওর কথা? সব কিছু বুঝতে পারি না। তবে সেগুলি প্রায়শই টেলিকাস্ট করা হয় এবং সেই সব কথার তর্জমাও সামনে আসে।’