টুর্নামেন্টের প্রথম ৭ ম্যাচে ২টি হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়াও একটি ৪৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন জোশ ব্রাউন। তবে তিনি নিজের সেরাটা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালের জন্য। ম্যাক্স সিক্সটি ক্যারিবিয়ানের ফাইনালে মাত্র ১৬ বলে ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করেন ব্রাউন। অন্যদিকে বল হাতে অনবদ্য পারফর্ম্যান্স মেলে ধরেন সুরঙ্গ লাকমল। সব মিলিয়ে খেতাবি লড়াইয়ে নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যারিবিয়ান টাইগার্স।
জর্জ টাউনে নতুন টি-১০ লিগ ম্যাক্স সিক্সটি ক্যারিবিয়ানের ফাইনালে সম্মুখসমরে নামে জর্জ মুনসির নেতৃত্বাধীন ক্যারিবিয়ান টাইগার্স ও থিসারা পেরেরার নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্স। টস জিতে ক্যারিবিয়ান টাইগার্স শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা নির্ধারিত ১০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১২৫ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
ওপেন করতে নেমে জোশ ব্রাউন ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ইসুরু উদানার এক ওভারে ৩টি ছক্কা ও ২টি চারের সাহায্যে ২৬ রান সংগ্রহ করেন। শেষমেশ ৪টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ৬০ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন ব্রাউন।
এছাড়া তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্রিস লিন ১৬ বলে ৩৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ক্যাপ্টেন জর্জ মুনসি ২, ক্যামেরন হেম্প ২, অ্যাশলে নার্স ৯, মাইকেল লিস্ক ৯ ও অ্যান্ড্রু টাই ১ রানের যোগদান রাখেন।
নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন অংশ প্যাটেল ও অখিলেশ রেড্ডি। ১টি করে উইকেট নেন মিচেল ওয়েন ও কার্লোস ব্রাথওয়েট। ইসুরু উদানা ২ ওভারে ৪৮ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্স ৮.১ ওভারে ৬৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৫৬ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যারিবিয়ান টাইগার্স। ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন ১২, থিসারা পেরেরা ২৫ ও ইসুরু উদানা ১০ রান করেন। কার্লোস ব্রাথওয়েট ২ রানে সাজঘরে ফেরেন। খাতা খুলতে পারেননি নিউ ইয়র্কের চারজন ব্যাটার।
ক্যারিবিয়ান টাইগার্সের হয়ে ৯ রানে ৩টি উইকেট নেন সুরঙ্গ লাকমল। ২টি করে উইকেট নেন ব্র্যাড কিউরি, প্যাট্রিক ডুলি ও মাইকেল লিস্ক। ১টি উইকেট নেন অ্যান্ড্রু টাই। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচের সেরা হন ব্রাউন।