একজন হ্যাটট্রিক-সহ ৬ উইকেট নিয়েও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না দলকে। অন্যজন অধিনায়কোচিত দৃঢ়তায় দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। শনিবার তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগে অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েও ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থেকে যেতে হয় কে ঈশ্বরনকে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন দাপুটে বোলিংয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
শনিবার সালেম ক্রিকেট গ্রাউন্ডে চলতি তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নেতৃত্বাধীন ডিন্ডিগুল ড্রাগসন ও অ্যান্থনি ধাসের ত্রিচি গ্র্যান্ড চোলাস। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ডিন্ডিগুল। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করে।
ওপেনার শিবম সিং ৫১ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন। তিনি ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ওপেন করতে নেমে ৬ বলে ৫ রান করেন। তিনি ১টি চার মারেন। ২৮ বলে ৩৩ রান করেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৬ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ভূপতি কুমার। তিনি ২টি বাউন্ডারি মারেন। বরুণ চক্রবর্তী ৩ বলে ২ রান করে মাঠ ছাড়েন।
দুরন্ত রেকর্ড কে ঈশ্বরনের
ত্রিচির হয়ে ৪ ওভার বল করে ৩২ রানের বিনিময়ে একাই ৬টি উইকেট দখল করেন কে ঈশ্বরন। তিনি ১৬.৫, ১৬.৬ ও ১৮.১ ওভারে পরপর সাজঘরে ফেরান দীনেশ রাজ, শরৎ কুমার ও জি কিশোরকে এবং ব্যক্তিগত হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে এটিই সর্বকালের সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ত্রিচি ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৪ রানে আটকে যায়। ১৬ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে অশ্বিনের ডিন্ডিগুল। দল হারায় ব্যর্থ হয় ঈশ্বরনের রেকর্ড বোলিং পারফর্ম্যান্স।
ত্রিচির আর রাজকুমার দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩১ রান করেন। ২৪ রান করেন সঞ্জয় যাদব। এস শ্যামসুন্দর ২৩, অর্জুন মূর্তী ১৮, সরবন কুমার ১৫ ও জাফর জামাল ১৩ রান করেন।
দাপুটে বোলিং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের
ডিন্ডিগুল দলনায়ক অশ্বিন ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন সন্দীপ ওয়ারিয়র। বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন ডিন্ডিগুল ওপেনার শিবম সিং।