হাতে দু'দিন সময় রয়েছে, ইংল্য়ান্ডকে শেষ ইনিংসে সাড়ে ছ'শো রান তোলার চ্যালেঞ্জ দিল নিউজিল্যান্ড। ঘাড়ের উপর রানের পাহাড় চাপিয়ে দেওয়ায় কতটা চাপে বেন স্টোকসরা, সেটা বোঝা যায় হ্যামিল্টন টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষেই। কেননা বিরাট টার্গেট সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড শুরুতেই তাদের দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসেছে।
হ্যামিল্টনে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তারা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ৩৪৭ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় মাত্র ১৪৩ রানে। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২০৪ রানের বড়সড় লিড নিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ড।
সুযোগ পেয়েও ইংল্যান্ডকে ফলো-অন করায়নি নিউজিল্যান্ড। বদলে নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৬ রান তোলে। তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে ৪৫৩ রানে।
কেন উইলিয়ামসন প্রথম ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৭ বলে ৪৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির আগে থামানো যায়নি উইলিয়ামসনকে। দ্বিতীয় ইনিংসে উইলিয়ামসন ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ১৩৭ বলে। সাহায্য নেন ১৪টি চার ও ১টি ছক্কার। উইলিয়ামসন দেড়শো রানের গণ্ডি টপকান ১৯৬ বলে। শেষমেশ ২০টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২০৪ বলে ১৫৬ রান করে আউট হন উইলিয়ামসন।
এছাড়া উইল ইয়ং ৬০, রাচিন রবীন্দ্র ৪৪, ডারিল মিচেল ৬০, মিচেল স্যান্টনার ৪৯ ও টম ব্লান্ডেল অপরাজিত ৪৪ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্য়ান্ডের হয়ে ৩টি উইকেট নেন জেকব বেথেল। ২টি করে উইকেট নেন বেন স্টোকস ও শোয়েব বশির। জো রুট নেন ১টি উইকেট।
প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৬৫৮ রানের। তারা তৃতীয় দিনের শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৮ রান তোলে। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ২ দিনে ইংল্যান্ডের দরকার আরও ৬৪০ রান। তাদের হাতে রয়েছে ৮টি উইকেট।
জ্যাক ক্রলি ৫ ও বেন ডাকেট ৪ রানে আউট হন। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন জেকব বেথেল। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি ও ম্যাট হেনরি।