কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের পিচ লাল মাটির করার উদ্যোগ নেওয়া হল। এতদিন কালো মাটির উইকেট ছিল সেখানে। লাল মাটির উইকেট না হওয়ার কারণে বারবার বিশেষজ্ঞদের সমালোচনার মুখে পড়েছে এই স্টেডিয়াম। তাই সেই কারণে এবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে গ্রিন পার্কে কালো মাটির পিচ রয়েছে, যেগুলো টেস্ট এবং একদিনের ম্যাচের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে, ভালো বাউন্স এবং ধারাবাহিক খেলা তৈরি করার ক্ষমতার কারণে সীমিত ওভারের ফরম্যাটের জন্য লাল মাটির উইকেট অনেক আগে থেকেই পছন্দের। যেখানে দেশের বেশির ভাগ প্রধান ক্রিকেট মাঠে লাল মাটির উইকেট দেখা যায়, সেখানে ব্যতিক্রমী ছিল কানপুর।
গতবছরের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে অপর্যাপ্ত লাল মাটির পিচ পাওয়া নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের রঞ্জি দলের কোচ সুনীল জোশি তো কানপুরে খেলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন। ফলস্বরূপ, উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ইউপিসিএ) অবশেষে গ্রিন পার্কে লাল মাটির উইকেট তৈরিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে। ভেন্যুতে শীঘ্রই দুটি প্রধান লাল মাটির উইকেট এবং দুটি অনুশীলন উইকেট তৈরি করা হবে, যা নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হিসাবে চিহ্নিত হবে। প্রধান ব্লকে পিচের সংখ্যা ৯ থেকে বাড়িয়ে ১১ করা হবে, যাতে খেলোয়াড়রা প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের জন্য আরও বেশি করে লাল মাটির উইকেট ব্যবহার করতে পারে।
লাল মাটির উইকেট না হওয়ার কারণে অনেক ইউপি খেলোয়াড়কে লখনউয়ের একনা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে। কারণ কাছাকাছি ভেন্যুগুলির মধ্যে একমাত্র সেটিতেই লাল মাটির উইকেট ছিল। কানপুর স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটর শিব কুমার নিশ্চিত করেছেন যে নতুন লাল মাটির উইকেট তৈরির কাজ ২০২৫ সালের মার্চ মাসে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ভারত, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ খেলবে। তারপর উড়ে যাবে দুবাইয়ে। সেখানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তারা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের ওডিআই সিরিজের মধ্যে একটিও কানপুরে নেই। ফলে উইকেট তৈরির জন্য কোনও তাড়া নেই তাদের। ভারতের প্রথম ওডিআই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৬ ফেব্রুয়ারি, নাগপুরে। তারপর খেলা রয়েছে ৯ ফেব্রুয়ারি কটকে। সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদে।