চলতি টি২০ বিশ্বকাপে সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না বিরাট কোহলির। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে এসেও চেনা পারফরমেন্স দেখা যাচ্ছে না কোহলির ব্যাট থেকে। তুলনায় একদমই নিষ্প্রভ এই তারকা ব্যাটার। সামনে আর দুটো ম্যাচ। এই দুটো ম্যাচে ভালো খেলতে পারলেই টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে তাঁর। রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদবরা রানের মধ্যে থাকলেও কোহলির রানে না থাকা বেশ চিন্তার কারণ টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে। এবার রোহিত প্রশংসা করতেই গিয়েই বিরাটে সামান্য সমালোচনা করলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাঁর মতে রোহিত নিজের শক্তি এবং বাধ্যবাধকতা জানে, কিন্তু কখনও লোককে বেশি দেখায় না।
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপে ডাহা ফেল অজিরা, টি২০ দলে কি আসবে বড় বদল?ভেতরের কথা ফাঁস করলেন হেজেলউড
১৯৮৩ সালে ভারতকে প্রথমবার বিশ্বকাপ এনে দেওয়া অধিনায়ক কপিল দেব প্রশংসা করেছেন রোহিত শর্মার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের। তিনি বলেছেন, ‘রোহিত শর্মা জানে ওর শক্তির জায়গা কোনটা। যখন কোনও ক্রিকেটার নিজের শক্তির বিষয়টা সম্পর্কে জানে, তখন ও আরও ভালো ছন্দ ধরে ফেলে। বিরাট কোহলি যদি ১৫০ বা ২৫০ কেজির ডাম্বেল তুলতে পারে, এর মানে এটা নয় যে সবাই সেটা পারে। রোহিত শর্মা নিজের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে ওয়াকিবহল। সেটা মেনে নিয়েই ও পারফর্ম করে। বিরাটের মতো ও খেলে না বা লাফালাফি করেনা। কিন্তু নিজের সিমার মধ্যে থেকেও রোহিত যেটা করতে পারে, সেটা বিরাটও পারে না।’।
আরও পড়ুন-জাদেজার থেকে অক্ষর-কুলদীপ ভালো, খারাপ ফর্ম শুরু হতেই খোলস ছেড়ে বেরলেন মঞ্জরেকর
ড্রেসিং রুমে রোহিত শর্মা পরিবেশ খুব ভালো রাখায় ক্রিকেটাররা আরও ভালো খেলছেন। তাই অধিনায়ক হিসেবেও রোহিতের প্রসংসা করেছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। কপিল দেবের কথায়, ‘বড় প্লেয়ার হলেই বড় ক্যাপ্টেন হতে হবে এমন কোনও কথা নেই। সচিন তেন্ডুলকর, ভিভ রিচার্ডস, রিচার্ড হ্যাডলিরা বড় খেলোয়াড় ছিল কিন্তু ক্যাপ্টেনসি নিয়ে কখনও ভাবেনি। অধিনায়ক হতে গেলে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়, যেমন মহেন্দ্র সিং ধোনি করত। উঠতি ক্রিকেটারদের এগিয়ে দিত রান বানানোর জন্য। আমার কাছে যেটুকু খবর আছে ভারতীয় ড্রেসিং রুমে ও খুব পরিবেশ ভালো রেখেছে। যার ফলে ক্রিকেটাররাও চাপহীন ভাবে খেলতে পারছে, এই বিষয়টির জন্য রোহিত শর্মা অনেকের থেকে এগিয়ে থাকবে, এটাই ক্যাপ্টেনের বড় গুন ’।
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপে দুই অধিনায়কের কীভাবে এত মিল? দেখে মনে হবে যজম ভাই রোহিত-বাটলার
উল্লেখ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার জিততে পারলেই ২০০৭ সালের পর ফের টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ চলে আসবে ভারতের সামনে।