স্বস্তির খবর প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পার জন্য। PF জালিয়াতি কাণ্ডে কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল তাঁর নামে। এবার তাতেই স্থগিতাদেশ দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা সঠিক ভাবে জমা দেননি উথাপ্পা। উথাপ্পা ওয়ারেন্ট এবং সম্পর্কিত পুনরুদ্ধারের নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশন দায়ের করার পরে, অবকাশকালীন বেঞ্চের সভাপতিত্বে বিচারপতি সুরজ গোবিন্দরাজ এই আদেশ দেন।
৪ ডিসেম্বর রিজিওনাল PF কমিশনার কর্তৃক জারি করা হয়েছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। PTI সূত্রে জানা যায়, বেঙ্গালুরুর সেন্টারাস লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটের ডিরেক্টর পদে ছিলেন রবিন উথাপ্পা। সেই সংস্থা কর্মীদের PF বাবদ ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬০২ টাকা এখনও জমা করতে পারেনি, যেটা ডিরেক্টর হওয়ার কারণে রবিন উথাপ্পারই দেওয়ার কথা। অভিযোগ, উথাপ্পার সংস্থা সমস্ত কর্মির বেতন থেকে নির্দিষ্ট অঙ্ক PF-র টাকা বাবদ কেটে নিলেও, PF অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা দেননি। অর্থাৎ কর্মীদের সঙ্গে আর্থিক কারছুপি করেছেন জাতীয় দলের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। এই মর্মেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। টাকা মেটানোর জন্য তাঁকে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।
এরপরেই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যান রবিন উথাপ্পা। সেখানেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানেক চ্যালেঞ্জ জানানোয় বিচারপতি তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ এই মুহূর্তে প্রাক্তন ক্রিকেটারকে কোনও ভাবেই গ্রেপ্তার করা যাবে না আর। নতুন বছরে যা নিঃসন্দেহে এক স্বস্তির খবর উথাপ্পার কাছে। উথাপ্পার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সিনিয়র অ্যাডভোকেট প্রভুলিং নাভাদগি আদালতে যুক্তি দিয়েছিলেন যে কোম্পানিতে প্রাক্তন ক্রিকেটারের ভূমিকা সীমিত ছিল এবং সেখানে প্রতিদিনের কাজগুলিকে তিনি দেখতেন না। নাভাদগি ব্যাখ্যা করেছেন যে উথাপ্পা কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে একটি আর্থিক চুক্তির অংশ হিসেবে ডিরেক্টর পদ গ্রহণ করেছিলেন, সেই কারণে EPF আইনের অধীনে তিনি এই টাকা দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ ছিলেন না।
উথাপ্পার আইনি দল আরও স্পষ্ট করেছে যে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০ সালে কোম্পানির ডিরেক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন এবং কর্তৃপক্ষকে তাঁর প্রস্থানের কথা জানিয়েছিলেন। আইনজীবীরা এটাও জানিয়েছেন যে উথাপ্পার কোম্পানিকে দেওয়া ঋণ পরিশোধ না করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। একটি বিবৃতিতে, উথাপ্পা জানিয়েছেন যে কোম্পানির সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণরূপে আর্থিক এবং পরিচালনা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াগুলিতে তাঁর কোন ভূমিকা নেই। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে ফের মামলার শুনানি রয়েছে।